আপনার বাচ্চাকে চুষনি দিচ্ছেন ? জানেন এই চুষনি কতটা ঝুঁকিপূর্ন  

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • মার্চ ২৯, ২০১৮

ছোট শিশুদের একটি সহজাত প্রবৃত্তি হল যা দেখে তাই ধরতে চায়, মুখে দিতে চায়। সাধারণত যখন ৬ মাসের মাঝে বাচ্চাদের প্রথম দাঁত উঠে তখন এই প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। তখন অনেকে বাচ্চা যাতে কম কান্না করে তার জন্যে ব্যবহার করেন চুষনি। কিন্তু নিজের অজান্তে এই চুষনি ব্যবহার করে বাচ্চার জন্যে বয়ে আনছেন অপূরণীয় ক্ষতি। আসুন জেনে নেই এই ক্ষতি সম্পর্কে - 

১) চুষনি দিলে বাচ্চা চুষনি এবং মায়ের স্তন এর বোটার মধ্যে দ্বিধা দ্বন্দ্বে পরে যায়। মায়ের স্তন থেকে দুধ খেতে বাচ্চার একটু বেশি চুষতে হয় না হলে দাঁত ও মাড়ির গঠন ঠিক মত হয় না। কিন্তু বাচ্চাকে চুষনি দিলে বাচ্চা এটার উপরই নির্ভর হয়ে পরে যার কারণে বাচ্চা পরে স্তন্যপান করতে চায় না। সুতরাং পুষ্টি রয়ে যায় অপূর্ণ।

২) ৬ মাস থেকে ২ বছর এর মধ্যে বাচ্চাদের দাঁত উঠে যায়। কিন্তু এই সময় চুষনির ব্যবহার বাচ্চার দাঁতে উঠার সময় যেমন বাড়িয়ে দেয় ঠিক তেমনি দাঁত এর আকার ও গঠনকে করে ফেলে ত্রুটিপূর্ণ।

৩) একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে বাচ্চারা চুষনিতে অভ্যস্ত তাদের কানের ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা অন্য বাচ্চাদের থেকে প্রায় দ্বিগুণ।

৪) বাজারে যে চুষনি পাওয়া যায় তা রাবারের তৈরি থাকে। আমেরিকার এক গবেষণা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী এই রাবারের চুষনিতে থাকা ক্ষতিকর ক্যামিকেল বাচ্চাদের বিভিন্ন ক্যান্সারের জন্য দায়ী।

৫) যে বাচ্চারা চুষনিতে অভ্যস্ত তাদের পেটে গ্যাস যেমন বেশি তৈরি হয় ঠিক তেমনি কমে যায় বাচ্চার খাবারের রুচি ।

৬) অনেক সময় চুষনি বাচ্চার গলায় আটকে যেতে পারে, যার কারণে বাচ্চার শ্বাসকষ্ট এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। (হাস্যকর হলেও আমেরিকা তে প্রতি বছর ১,০০০ জনে ৪ জন বাচ্চা এরকম দুর্ঘটনার শিকার হয়)

৭) বাচ্চারা সব সময় মুখে চুষনি রাখতে চায় না, মুখ থেকে বের করে বিছানায় অথবা মেঝেতে রাখে আবার মুখে দেয়। যার কারণে এই চুষনি দিয়েই বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত করে ফেলতে পারে।

তথ্য এবং ছবি : গুগল  

Leave a Comment