মাসলপুলের সমস্যায় কি করবেন? 

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • মার্চ ৩১, ২০১৮

মাসলপুল খুবই সাধারণ ঘটনা। যে কারো বেলায়ই তা হতে পারে। অনেকেই মনে করেন কেবলমাত্র অতিরিক্ত ব্যায়ামই পেশিতে টান পরার কারণ। অথচ তা ঠিক নয়। অসচেতনভাবে হাঁটার সময় পেশির উপর চাপের তারতম্য ঘটলেও মাসলপুল হতে পারে। এছাড়া পানিস্বল্পতা, ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-বি-সহ বেশ কিছু খনিজ লবণের অভাবেও মাসলপুল হতে পারে বলে গবেষকরা দাবী করেন। মাসলপুলের জন্য শরীরের যেকোন জায়গার পেশিই আক্রান্ত হতে পারে। তবে সাধারণত ঘাড়, কাঁধ, কোমর, উরু ও হাঁটুর নিচের পেশিই বেশি মাসলপুলে শিকার হয়।

১. পেশিতে টান পড়লে কিংবা কোথাও মচকে গেলে দুনিয়াব্যাপী “RICE থেরাপি” প্রয়োগ করা হয়। “RICE থেরাপি” মানে হচ্ছে, R- Rest, I- Ice, C- Compression, E- Elevation। অর্থাৎ প্রথমেই আক্রান্ত পেশির পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিশ্চিত করতে হবে। তারপর সেখানে ঠাণ্ডা বরফ দিয়ে সেঁক দিতে হবে। বরফ না পেলে ঠাণ্ডা পানিতেও কাজ চলবে। এরপর আক্রান্ত পেশিতে চাপ প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য বাজারে Crepe Bandage (ক্রেপ ব্যান্ডেজ) নামে এক ধরনের ব্যান্ডেজ পাওয়া যায়। এটা বেশ কার্যকর। সবশেষে আক্রান্ত স্থানের নিচে বালিশ বা অন্য কিছু দিয়ে শরীরের তুলনায় কিছুটা উপরে রাখতে হবে। বিশেষ করে শোয়ার সময় এভাবে আক্রান্ত স্থানের নিচে কিছু দিয়ে শুতে হবে। এই থেরাপি প্রয়োগে বেশ আরাম পাওয়া যায় ও ব্যথাও কিছুটা উপশম হয়।

২. মাসলপুলের পর তিন দিন পার হয়ে গেলে টান লাগা পেশিতে সামান্য করে কুসুম গরম পানির সেঁক দেয়া যায়। এতে করে ওই স্থানের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। ফলে আক্রান্ত পেশি দ্রুত সেরে উঠবে।

৩. ব্যথার জন্য সাধারণত প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলেই উপকার পাওয়া যায়।

৪. তবে ব্যথা খুব বেশি ও তীব্র হলে ন্যাপ্রক্সেন বা আইবুপ্রোফেন জাতীয় পেইনকিলার ওষুধ হিসাবে খাওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে এসব ওষুধ অবশ্যই ভরা পেটে খেতে হবে। খাওয়ার আধা ঘন্টা আগে ওমিপ্রাজল বা রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধ খেয়ে নিতে হবে। তা না হলে এসিডিটির সমস্যা হতে পারে। খুব বেশি ব্যথা অনুভূত না হলে ছাড়া পেইনকিলার খাওয়া ঠিক নয়। কেননা এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে।

৫. আক্রান্ত স্থানকে সচল রাখতে হবে। এজন্য মাঝে মাঝে অল্প অল্প করে নাড়াচাড়া করার চেষ্টা করতে হবে। তবে খুব বেশি প্রেসার দেয়া যাবে না।

 তথ্য এবং ছবি : গুগল

Leave a Comment