আপনার শিশুর চোখে ঘুম নেই ?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • নভেম্বর ২২, ২০১৭

শিশু ভালোমতো না ঘুমালে যেমন তার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়, তেমনি তার বাবা - মাও ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না। ঘুম সবার জন্যই জরুরি। ভালো ঘুমের জন্য প্রয়োজন অভ্যাস গড়ে তোলা এবং তা একেবারে শিশু বয়স থেকেই। কিভাবে সেই অভ্যাস গড়ে তুলবেন চলুন জেনে নিই। 

ঘুমের ‘ট্রেনিং’ :

জার্মানির শিশু বিশেষজ্ঞরা বলেন, শৈশব থেকেই ঘুমের অভ্যাস তৈরী করতে হবে। শৈশব থেকে ঘুমের অভ্যাস তৈরী না করলে বড় হলে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। সুস্থ থাকার জন্য ঘুম অত্যন্ত জরুরি। তাই যে কোনো মানুষেরই ভালো ঘুমের জন্য শৈশব থেকেই ‘ট্রেনিং’ বা নিয়মিত অভ্যাস করা প্রয়োজন। 

নিরিবিলি পরিবেশ :

অন্ধকার ঘরে শিশুরা ঘুমোতে বা একা থাকতে ভয় পায়। তাই শিশুর ঘরে রাতে একটি ‘ডিম লাইট’ জ্বালিয়ে রাখা কিংবা দরজা একটু খোলা রাখা জরুরি। দরজাটা হালকা খোলা রাখলে পাশের ঘর থেকে কিছুটা আলো বা হালকা শব্দ আসতে পারে। এর ফলে শিশু ভয় না পেয়ে সেভাবেই ঘুমাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারে।

টেডি বেয়ার বা কাপড়ের খেলনা :

শিশুর জন্মের পর থেকেই ওর বিছানার পাশে একটি টেডি বেয়ার বা কাপড়ের তৈরি কোনো খেলনা রাখুন। ইচ্ছে করলেই যেন শিশুটি তা ওর বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে ধরতে পারে। তবে খেলনার কাপড় যেন ‘অ্যান্টি অ্যালার্জি’ হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মিউজিক :

ফিতা ধরে হালকা টান দিলেই মিউজিক বা গান বাজে, এরকম একটি রঙিন খেলনা শিশুর বিছানার ওপর ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। ঘুম ভেঙে গেলে যে শিশু কান্না শুরু করে, এই খেলনা সেটি প্রতিরোধ করবে। 

শিশু কাঁদলেই কোলে নিবেন না :

শিশু বিছানায় একটু কাঁদলেই অনেকে সাথে সাথে কোলে তুলে নেয়। এই কাজটি করবেন না। প্রথমে শিশুর গায়ে বা মাথায় একটু হালকাভাবে হাত বুলিয়ে দিন, কিংবা ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে আদর করে কিছু বলুন, দেখবেন তাতেই হয়তো শিশু আবার ঘুমিয়ে যাবে। এভাবে কাজ না হলে তখন কোলে তুলে নিতে হবে।

সুশৃঙ্খল জীবন যাপন :

জার্মানরা বিশ্বে সুশৃঙ্খল জাতি হিসেবে পরিচিত। জার্মানিতে একটা কথা প্রচলিত আছে যে, ‘অর্ডনুং ইস্ট ডাস হালবে লেবেন’, অর্থাৎ নিয়মমাফিক চললে জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়। প্রতিদিন একই সময়ে একই কাজ করা হলে মানুষ সেভাবেই কিন্তু অভ্যস্ত হয়ে যায়। তাই শিশু বয়স থেকেই ঘুম, খাওয়া-দাওয়া বা বই পড়ার মতো জরুরি কিছু বিষয়ে অভ্যাস তৈরি করা উচিত। পরবর্তী জীবনে এসবের সুবিধা পাওয়া যায়।

শিশুর খেয়াল রাখুন :

শিশু যেন দিনের বেলায় যথেষ্ট ক্যালোরিযুক্ত খাবার খায় এবং তরল পান করে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ, ক্যালোরি ও পানির অভাবেও অনেক সময় শিশুর ঘুম ভেঙে যেতে পারে বা সময়মতো ঘুম না আসতে পারে। তাছাড়া দিনের বেলায় ভীতিকর কোনো ঘটনা দেখলেও রাতে শিশুর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

তথ্য এবং ছবি : গুগল 

Leave a Comment