দৃষ্টিশক্তির ত্রুটিতে ল্যাসিক সার্জারি

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ৭, ২০১৮

যাঁদের চোখের পাওয়ার আছে কিন্তু চশমা বা কনট্যাক্ট লেন্স পরতে চান না, তাঁদের জন্য আধুনিক একটি চিকিৎসাব্যবস্থার নাম ল্যাসিক সার্জারি। ল্যাসিক ইংরেজি Laser Assisted In-Situ Keratomileusis-এর সংক্ষিপ্ত নাম। এক্সাইমার লেজার রশ্মির সাহায্যে চোখের কর্নিয়ায় আকৃতি বা গঠনের পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ চোখের পাওয়ারের পরিবর্তন করা হয়। ল্যাসিক-পদ্ধতির অপারেশন এর প্রকারভেদের মাধ্যমে মাইনাস বা প্লাস পাওয়ারকে পরিবর্তন করে বিনা পাওয়ার বা জিরো পাওয়ার করা হয়।

চোখের সামনের চকচকে আবরণকে বলা হয় কর্নিয়া। চোখে যে ৫৮-৬০ ড্যাপটার পাওয়ার থাকে, তার অধিকাংশই কর্নিয়া (৪২ ড্যাপটার) থেকে আসে।এক ধরনের বিশেষ লেজার রশ্মির (Excimer Laser) সাহায্যে কর্নিয়ার এ পুরুত্বকে ৮ ড্যাপটার পর্যন্ত বাড়ানো বা কমানো যায়। এ লেজারের মাধ্যমে কর্নিয়ার পুরুত্ব প্রায় ৫০০ মাইক্রোন (আধা মিমি) থেকে কমিয়ে ১০০ থেকে ১৫০ মাইক্রোন পর্যন্ত করা সম্ভব।পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয় কম্পিউটার সফটওয়্যারের মাধ্যমে। ফলে খুব নিখুঁতভাবে যার যতোটুকু কাটা দরকার, ঠিক ততোটুকুই মেশিনে কেটে নেয়া হয়। এর কম বা বেশি হবার সম্ভাবনা খুবই কম। এতে ফলাফলের ব্যাপারে রোগী বা চিকিৎসককে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হতে হয় না।সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে প্রতি চোখে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় লাগে। রোগীদের হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন হয় না। বরং অপারেশনের পরদিনই রোগী স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যেতে পারেন। পুরো প্রক্রিয়াটি ব্যথা মুক্ত। তাই রোগী অস্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না।

ল্যাসিক সার্জারি যথেষ্ট নিরাপদ একটি ব্যবস্থা। এই অপারেশনের ফলাফল ৯৯ শতাংশই সফল। যেহেতু এটি একটি অপারেশন, সেহেতু কারও কারও ক্ষেত্রে সামান্য অপারেশন জটিলতা হতে পারে। অভিজ্ঞ ল্যাসিক সার্জনের হাতে এই জটিলতাও খুব কম। অনেক রোগী অপারেশনের সময় ও পরে দু-তিন ঘণ্টা চোখ সামান্য ব্যথা ও চাপ অনুভব করেন। সাধারণত এক দিন পরই এসব উপসর্গ ভালো হয়ে যায়। চোখে অন্ধত্ব হয়ে যাওয়ার মতো জটিলতা এই সার্জারিতে হয় না বললেই চলে।
 

আর/এস 

Leave a Comment