আপনি দাদ রোগের কারণ ও প্রতিকার জানেন তো?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • আগস্ট ৯, ২০১৮

দাদ এক ধরনের চর্মরোগ। সাধারণত শরীরের এক জায়গায় গোল চাকতির মত ফুসকুড়ি উঠে চুলকানি হয়। আর একেই দাদ বলে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দাদ হতে পারে।

দাদ রোগের কারণ:

• ছত্রাকের কারণে দাদ হয়ে থাকে। সাধারণত ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে জায়গা এবং ভালোভাবে আলোবাতাস পায় না এধরণের জায়গায় ছত্রাকের জন্ম হয়।

• অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা, আটসাট অন্তর্বাস ব্যবহার করলে, অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করলে এবং সংক্রামক ব্যক্তির কাপড়, গামছা ব্যবহার করলে দাদ হতে পারে।

দাদ কোথায় বেশি হয় ?

• মাথার চুলের নিচে দেখা যায়।

• দাড়িতে দাদ হয়।

• কুচকিতে ও রানের দুপাশে দাদ হয়।

• পিঠ, পেট, গায়ে দাদ হয়।

• পায়ের তলায় এবং পাতায় দাদ হয়।

• নখে দাদ হতে পারে।

দাদ রোগের লক্ষণ: দাদ হলে সাধারণত চামড়ার ওপর গোলাকার ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এটি দেখতে অনেকটা চাকার মতো যার কিনারগুলো সামান্য উঁচু হয়। যতই দিন যায় চাকার পরিধি বাড়তে থাকে আর কেন্দ্রের দিকে বা ভেতরের দিকে ভালো হয়ে যেতে থাকে। ক্ষত স্থান থেকে খুসকির ন্যায় ওঠে। কখনো কখনো পানি ভর্তি দানা ও পুঁজ ভর্তি দানা হয়। ক্ষত স্থান অত্যন্ত চুলকায়৷ মাথায় দাদ হলে আক্রান্ত স্থানের চুল পড়ে যায়। কোমরে বা কুচকিতে হলে চামড়া সাদা ও পুরু হয়ে যায়। নখে হলে নখ অস্বচ্ছ ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। দাদ চুলকালে সেখান থেকে কষ পড়তে থাকে।

দাদ রোগের প্রতিরোধ:

• ক্ষতস্থান শুকনো রাখার চেষ্টা করা, যতটা সম্ভব তেল সাবান না লাগানো ভাল।

• সংক্রমণের জায়গাটা যতটা সম্ভব খোলা রাখতে হবে এবং গেঞ্জি, মোজা, আন্ডারওয়্যার প্রতিদিন পরপর পরিষ্কার করতে হবে।

• উষ্ণ গরম পানি ও সাবান দিয়ে ভালভাবে ধৌত করে শুকিয়ে প্রয়োজনে ওষুধ ব্যবহার করা উচিৎ।

সূত্র : গুগল 

Leave a Comment