প্রাকৃতিকভাবে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করার কিছু টিপস 

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮

সময়ের সাথে সাথে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। সাধারণত দুই ধরণের ডায়াবেটিস দেখা যায়। একটি হল টাইপ ১ ডায়াবেটিস যেখানে শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন হয় না। আরেকটি হল টাইপ ২ ডায়াবেটিস যেখানে ইনসুলিন ঠিকমত কাজ করে না। সাধারণত টাইপ ২ ডায়াবেটিস হতে দেখা যায়। অবসাদ লাগা, ওজন হ্রাস, অতিরিক্ত পানি পিপাসা, প্রস্রাব বা প্রস্রাবের বেগ পাওয়া, ক্ষত দেরীতে শুকানো ইত্যাদি ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ।

ডায়াবেটিসের কোন প্রতিকার নেই। রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকলে আপনি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন। এই প্রাকৃতিক উপায়গুলো আপনার রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে।

করলা : তেতো করলা সারিয়ে তুলবে ডায়াবেটিস। সকালে খালি পেটে করলার জুস পান করুন। এটি প্রতিদিন করে দুই মাস পান করুন। এছাড়া প্রতিদিনের খাবারে করলা সবজি হিসেবে রাখতে পারেন। এটি প্যানক্রিয়াটিক ইনসুলিন সিক্রেশন বৃদ্ধি করে। করলা দুই ধরণের ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারি।

দারুচিনি : এক কাপ গরম পানিতে আধা চা চামচ দারুচিনি মিশিয়ে পান করুন। এটি প্রতিদিন পান করুন। এছাড়া এক কাপ গরম পানিতে দুই থেকে চারটি দারুচিনি দিয়ে জ্বাল দিন ২০ মিনিট। প্রতিদিন এটি পান করুন। যেকোন খাবারে আপনি দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। দারুচিনির গুঁড়ো রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর উপাদান লিভার ড্যামেইজ করা প্রতিরোধ করে।

হলুদের গুঁড়ো : আধা গ্লাস পানিতে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ো, এক চা চামচ আমলকীর গুঁড়ো এবং আধা টেবিল চামচ মেথির গুঁড়োর মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন।

মেথি : দুই টেবিল চামচ মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে এই পানি পান করুন। এটি কয়েক মাস পান করুন। এছাড়া দুই টেবিল চামচ মেথি গুঁড়ো দুধের সাথে মিশিয়ে পান করুন। মেথি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ঠিক রাখে। উচ্চ আঁশযুক্ত হওয়ায় এটি শরীরের কার্বোহাইড্রেইড এবং চিনি শরীরে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে।

অ্যালোভেরা জেল : আধা চা চামচ তেজপাতার গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো এবং এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ভাল করে মিশিয়ে নিন। এটি দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার খাওয়ার আগে নিয়মিত খান। অ্যালোভেরা এবং হলুদের ওষধি গুণাবলী ডায়াবিটস নিয়ন্ত্রণ করে।

ঢেঁড়স : কিছু ঢেঁড়স কেটে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে ঢেঁড়স ফেলে দিয়ে পানি পান করুন। এটি প্রতিদিন করুন। ২০১১ সালে এক জার্নালে দেখা গেছে যে, ঢেঁড়সের অ্যান্টিডাবায়টিক এবং অ্যান্টিহাইপারলিপিডেমিক উপাদান রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

সূত্র : গুগল 
 
 

Leave a Comment