
আকর্ষণীয় ফিগারের জন্য যে কাজগুলো করবেন
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
- নভেম্বর ২৯, ২০১৮
আকর্ষণীয় ফিগার কার না পছন্দ! যেমন নারীর নিজের, তেমনি স্বামী বা প্রেমিকেরও। যদিও এই কিছুদিন আগেও স্বাস্থ্যেবান বলতে দেখানো হতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষ৷ যুগের সাথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া বদলে গেছে৷ আজকাল সুস্বাস্থ্য মানে সুস্থ, ফিট আর টানটান শরীর। যাঁকে যে কোনো পোশাকে মানায় এবং সবার মাঝে আকর্ষণীয় করে তুলে। তাই চলুন জেনে নিই নিজেকে ফিট রাখার কিছু মন্ত্র।
ঘরের মেঝে মোছা: বাসার কাজগুলো যদি নিজেই নিয়ম করে ঠিক মতো করে ফেলা যায়, তাহলে কিন্তু দুটো কাজ একসাথে সম্ভব৷ বাসা-বাড়ি পরিষ্কারের পাশাপাশি তা একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর হয়, আবার শরীরও সুন্দর থাকে। বিশেষ করে মেঝে বা সিঁড়ি মুছতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই পেটে প্রচণ্ড চাপ পড়ে। ফলে পেটের মেদ সহজেই কমে যায়৷ নিয়ম করে মেঝে মুছলে পেট মসৃণ হয় আর কোমরের আকারও হয় সুন্দর।
জানালা পরিষ্কার: জানালার গ্লাস পরিষ্কার করতে হাত বারবার ওপর-নিচ করতে হয়। এতে শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও নাড়াচাড়া ঘটে। ফলে জানালা পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি হাতের মাংসপেশী শক্ত হয় ও শরীরের বাড়তি মেদ কমে৷ বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকের হাতের মাংসপেশী খানিকটা ঝুলে পড়ে, যা হাতের এই ব্যায়ামের মাধ্যমে কমানো সম্ভব।
দাঁড়িয়ে ঘরের কাজ: বসে কাজ করলে কেবল একটি কাজই করা যায়৷ কিন্তু দাড়িয়ে কাজ করলে একই সাথে রান্না, বাসন ধোয়া, কাটাকুটি এবং রান্নাঘরের অন্যান্য কাজও করা সম্ভব৷ এতে খানিকটা হাঁটাহাটির ফলে পায়েরও কিছুটা ব্যায়াম হয় এবং হাড় শক্ত থাকে৷ সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মেদও জমতে পারে না সহজে।
বাগান করা: বাগান করা একটি সখের ব্যাপার৷ এ কাজটি ভালোভাবে করতে, অর্থাৎ শাক-সবজি, ফল আর সুন্দর ফুল ফোটাতে শরীরের বেশ পরিশ্রম হয়৷ বাগানপ্রেমীদের মেদহীন সুন্দর শরীর দেখেও অবশ্য তা বোঝা যায়৷ তাছাড়া বাগানপ্রেমীদের প্রকৃতির সাথেও থাকে নিবিড় সম্পর্ক৷ ফলে শরীর এবং মন দুটোই ভাল রাখতে সাহায্য করে বাগান।
কাজের পর বিশ্রাম: বিভিন্ন কাজকর্ম করার পর শরীরে ক্লান্তি ভর করাটা স্বাভাবিক। তখন ঝকঝকে সুন্দর বাথটবে পানি ভর্তি করে এতে ঢেলে দিন সুগন্ধী তরল সাবান৷ এবার নেমে পড়ুন পানিতে৷ আধঘণ্টা পর পানি থেকে ওঠে শরীরটাকে মনে হবে একেবারে হালকা আর মনটা দারুণ ফুরফুরে।
টি/আ