শীতে নবজাতকের মাথার চুল কামিয়ে দেওয়া উচিত?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮

জন্মের পর থেকেই নবজাতকদের যত্নে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। তবে শীতকালে সেই সতর্কতা আরও বেড়ে যায়। এ সময় নবজাতকের যত্ন নিয়ে অনেক মা-বাবাই দুশ্চিন্তায় পড়েন।  এ সময় তাদের কেবল একটাই চিন্তা, কীভবে যত্ন নিলে নবজাতক সুস্থ থাকবে।

তবে অনেক সময় দেখা যায়, জন্মের পরপরই নবজাতকের মাথার চুল কামিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এই শীতে নবজাতককে সুস্থ রাখতে বিষেশজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। তাদের মতে, নবজাতক জন্মের পরপরই মাথার চুল কামিয়ে দেওয়া উচিত নয়। এতে ঠাণ্ডা লেগে নিউমোনিয়া হয়ে যেতে পারে। তাই প্রয়োজনে কাঁচি দিয়ে মাথার চুল ছেঁটে দিন।

এ ছাড়া নবজাতককে সুস্থ রাখতে সরাসরি রোদে না রেখে পোশাক পরিয়ে জানালার ভেতর দিয়ে আসা রোদে রাখুন। গোসলের পর নবজাতককে বেবি লোশন কিংবা ক্রিম লাগিয়ে দিন।

মাতৃগর্ভে গরম পরিবেশ থেকে বাইরের পরিবেশের সংস্পর্শে নবজাতকের শরীর দ্রুত ঠাণ্ডা হয়ে যায়,। বিশেষ করে শীতকালে। তাই এ সময় নবজাতক জন্মের পর কয়েকটা দিন মাতৃগর্ভের তাপমাত্রা ধরে রাখা জরুরি। আর সে প্রস্তুতি থাকতে হবে শিশু জন্মগ্রহণ করার আগেই।

জন্মের পর নবজাতকের কক্ষে রুম হিটার জ্বালিয়ে, দরজা-জানালা বন্ধ রেখে এ তাপমাত্রা নিশ্চিত করতে পারেন। ঘরের কোণে কয়লা কিংবা তুষের আগুনও রাখতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।  জন্মের পর অনেকেই নবজাতকের দেহের সাদা আবরণকে নোংরা ভেবে জন্মের পরপরই গোসল করিয়ে দেন। যদিও তা উচিত নয়। কারণ এই সাদা আবরণটিই তার রক্ষাকবচ। তা ছাড়া সঙ্গে সঙ্গে গোসল করালে ঠাণ্ডা লেগে যায়।

এ ছাড়া এই শীতে নবজাতককে ঠাণ্ডা বাতাস কিংবা কুয়াশায় বাইরে নেওয়া উচিত নয়। এতে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। এ সময় শিশুর কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকের ভেতর গড়গড় আওয়াজ হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

টি/আ

 

Leave a Comment