জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি এবং মাইগ্রেন 

  • ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
  • ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯

মাইগ্রেন খুব পরিচিত অসুখ। অনেকেই এ রোগে খুব কষ্ট পান। মেয়েদের মাইগ্রেন বেশী হয়। ১৫-৪৫ বছরের মধ্যে রোগটি বেশী দেখা যায়। জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি ২ রকম হয়। কম্বাইন্ড ওরাল কণ্ট্রাসেপ্টিভ পিল এবং প্রজেস্টেরন অনলি পিল। কম্বাইন্ড ওরাল কণ্ট্রাসেপ্টিভ পিলে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন থাকে। আর প্রজেস্টেরন অনলি পিলে শুধু প্রোজেস্টেরন হরমোন থাকে। এসব গ্রহণ করলে সমায়িক ভাবে বাচ্চা হওয়া প্রতিরোধ করা যায়। 

জন্মনিয়ন্ত্রনের কার্যকর এবং নিরাপদ উপায় কম্বাইন্ড ওরাল কণ্ট্রাসেপ্টিক পিল গ্রহণ। তবে সবার জন্য একথা প্রযোজ্য নয়। যাদের মাইগ্রেন আছে তাদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। মাইগ্রেনের অনেক প্রকারভেদ আছে। সাধারণ ২টি প্রকার হচ্ছে ক্ল্যাসিকাল এবং কমন মাইগ্রেন। ক্ল্যাসিকাল মাইগ্রেনে “অরা” থাকে আর কমন মাইগ্রেনে “অরা” থাকেনা। “অরা” হচ্ছে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হবার ঠিক আগের এক বিশেষ অনুভূতি। রোগী আলোর ঝলকানি দেখে, অস্বস্থিকর গন্ধ পায়। 

ক্ল্যাসিকাল মাইগ্রেনে কম্বাইন্ড ওরাল কণ্ট্রাসেপ্টিক পিল দেয়া হয়না। কমন মাইগ্রেনে কম্বাইন্ড ওরাল পিল দেয়া যায়। তবে সর্বক্ষেত্রে নয়। বর্তমানে যে কম্বাইন্ড ওরাল কণ্ট্রাসেপ্টিভ পিল পাওয়া যায় তা খুব কার্যকর এবং সহনীয়। জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি সস্তা। সর্বত্র পাওয়া যায়। গ্রহণ করাও সহজ। যৌনতায় প্রভাব ফেলেনা। তাই দম্পতির কাছে এটি খুব জনপ্রিয়। বাংলাদেশেও মাইগ্রেনের প্রচুর রোগী দেখা যায়। “অরা” সহ মাইগ্রেন থাকলে ওরাল কণ্ট্রাসেপ্টিভ দেয়া যাবেনা। তাতে বারবার মাইগ্রেন এটাক হবার ঝুঁকি থাকবে। তবে “অরা” না থাকলে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু অবশ্যই তা হতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ ক্রমে। 
 


 

Leave a Comment