ন্যাপি র্যাশ
- ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
- মার্চ ১৭, ২০১৯
ন্যাপি র্যাশ খুব পরিচিত এই সমস্যা। এখনকার দিনে শহরাঞ্চলে প্রায় সব বাচ্চাকেই ন্যাপি পরানো হয়। যেসব বাচ্চাদের ন্যাপি পড়ানো হয় তাদের অধিকাংশেরই এই ন্যাপি র্যাশ হবার সম্ভাবনা থাকে। অধিক সময় ধরে ন্যাপি পরিয়ে রাখলে এই র্যাশ বেশি হয়। মল ও মূত্র একত্রে মিশে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য উৎপন্ন হয়। এসব রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শে চামড়ায় ক্ষত সৃষ্টি হয়। ত্বক লাল হয়ে যায় ।অনেক জায়গায় ত্বকের আবরণ উঠে ঘা সৃষ্টি হয়। ন্যাপি র্যাশ কিন্তু ছত্রাক দিয়েও হতে পারে। এই র্যাশ ন্যাপি পরিহিত এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকে।
ন্যাপি র্যাশ থেকে শিশুকে মুক্ত রাখতে হলে মলমূত্র ত্যাগ করার সাথে সাথে ন্যাপি পরিবর্তন করতে হবে। দিনের বেশ কিছুটা সময় শিশুকে ন্যাপি না পরিয়ে রেখে খোলামেলা রাখতে হবে। নিম্নমানের ন্যাপির পরিবর্তে উন্নতমানের ন্যাপি পরাতে হবে। ন্যাপি পরানোর আগে ত্বকে জিংক মলম লাগালে ভাল ফল পাওয়া যায়। বাচাচকে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। হালকা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। তারপরেও সমস্যা হলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।