পিরিয়ড সম্পর্কিত কিছু কথা

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • মার্চ ২৪, ২০১৯

নারী জীবনের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়  পিরিয়ড (Menstruation)। তবে এই প্রাকৃতিক এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যে অনেক অজ্ঞতা রয়েছে। আর এই অজ্ঞতাড় ফলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সমস্যায়ও পড়তে হয়।

১. বয়স ভেদে এবং শারীরিক গঠনের নানা বিষয়াদি বিবেচনায় ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে পিরিয়ডের সময়কাল। তবে এক্ষেত্রে প্রতি মাসেই যে একই সময়ব্যাপী চলবে তা নাও হতে পারে। আবার খুব বেশি তারতম্য হলেও অবহেলা করা উচিত নয়।
যদি খুব দ্রুত অর্থাৎ ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে পিরিয়ড শুরু হয়ে যায় তাহলে তা দেহে ফাইবারয়েড, হিমোগ্লোবিনের অভাব বা আয়রনের অভাবের লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে।

২. সাধারণত ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে বেশীরভাগ মেয়েদেরই মাসিক এই শারীরিক প্রক্রিয়াটি শুরু হয়ে যায় এবং ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত চলতে পারে। তবে ১৫ বয়সের পরও যদি নিয়মিত পিরিয়ড শুরু না হয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

৩. পিরিয়ড সাধারণত ২৮ দিন থেকে শুরু করে ৩০/৩৫ বা ৪০ দিন পরপর পর্যন্ত হতে পারে। তবে ২৮ থেকে ৩০ দিন পরপর হওয়া ভালো লক্ষণ। পিরিয়ড যদি অনিয়মিত হয় অর্থাৎ কোনো মাস বাদ চলে যায় এবং ১০-২০ দিন পর পর হতে থাকে তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

৪. পিরিয়ড শুরুর সময় ফ্লো বেশী থাকে যার কারণে অনেক সময় নার্ভে চাপ পড়ে থাকে এবং পিঠের দিকে ও পায়ে ব্যথা অনুভব হয়। যদি অতিরিক্ত ব্যথা এবং সেই সাথে খুব বেশী অস্বস্তি অনুভব হতে থাকে তাহলে তা হরমোনের তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে। তবে যদি কখনোই পিরিয়ডের সময় ব্যথা না হয়ে হুট করে ব্যথা শুরু হয় তাহলে তা অবশ্যই অবহেলার নয়। এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করা উচিত।

৫. যদি বডি ম্যাস ইনডেক্স অনুযায়ী আপনার দেহের ফ্যাট লেভেল অনেক বেশী কমে যায় তাহলে আপনার পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাবে। আপনি যদি একেবারেই ফ্যাট মুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করেন তখন আপনার দেহের মেদ ভাঙতে শুরু করবে দেহের মেটাবোলিক কাজের জন্য এবং এতে করে ধীরে ধীরে ফ্যাট লেভেল কমতে থাকে। যখন তা কমে ৮-১২% এর নিচে নেমে আসে তখন পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও অতিরিক্ত মোটা হয়ে গেলে দেহের হরমোনের তারতম্যের কারণেও পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় এবং অনিয়মিত পিরিয়ড শুরু হয়।

টি/আ

Leave a Comment