ভাইরাল মেনিনজাইটিস 

  • ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
  • এপ্রিল ১২, ২০১৯

ব্রেনের আবরনীকে মেনিনজেস বলে। এখানে প্রদাহ হলে তাকে মেনিনজাইটিস বলে। যদি ভাইরাস দিয়ে ব্রেনে প্রদাহ হয় তাকে ভাইরাল মেনিনজাইটিস বলে। যেসব কারনে মেনিনজাইটিস হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয় ভাইরাসের কারনে। ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিসের থেকে ভাইরাল মেনিনজাইটিস কম মারাত্মক । 

ভাইরাল মেনিনজাইটিস অনেক সময় চিকিৎসা ছাড়াও ভাল হয়ে যায়। তবে ১ মাসের কম বয়সী শিশু এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ক্ষেত্রে ভাইরাল মেনিনজাইটিস বিপদজনক হতে পারে। যেসব ভাইরাস দিয়ে ভাইরাল মেনিনজাইটিস হয় তাদের মধ্যে আছে :

১। মাস্পস ভাইরাস         

২। হার্পিস ভাইরাস         

৩। মিসেলস ভাইরাস 

৪। ইনফ্লুয়েন্স ভাইরাস         

৫। চিকেনপক্স ভাইরাস         

৬। ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস 

৭। বিভিন্ন আরবোভাইরাস         

৮। এন্টারোভাইরাস ইত্যাদি। 

মেনিনজাইটিস যে কারনেই হোকনা কেন উপসর্গ মোটামুটি একই। মেনিনজাইটিসে সচরাচর যেসব উপসর্গ দেখা যায় তার মধ্যে আছে: 

১। জ্বর         

২। অস্থিরতা         

৩। দূর্বলতা         

৪। ঘুমঘুম ভাব 

৫। মাথাব্যথা     

৬। ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া         

৭। বমিভাব     

৮। বমি 

৯। ক্ষুধামন্দা     

১০। আলোর দিকে তাকাতে অসুবিধা হওয়া ইত্যাদি। 

ভাইরাল মেনিনজাইটিস ডায়াগনসিসের জন্য ভালভাবে ইতিহাস নিতে হবে। তবে শুধু ইতিহাস নিয়ে আর শারীরিক পরীক্ষা করে ডায়াগনসিস সম্ভব নয়। নিশ্চিত হবার জন্য ল্যাবটেস্ট করা হয়। কোন ভাইরাস দিয়ে হয়েছে উন্নত ল্যাবরেটরিতে তাও নির্ণয় করা যায়। আমাদরে দেশে এখন এসবের সুযোগ তেমন না থাকলেও অচিরেই এসব ভাইরাস নির্ণয় করা যাবে সহজেই। 

ভাইরাস মেনিনজাইটিসের সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। নিজে নিজেই অসুখটি ভাল হয়ে যায়। ৭-১০ দিন সময় লাগে। তবে কিছু ভাইরাস দিয়ে মেনিনজাইটিস হলে এন্টিভাইরাল দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। শিশুদের এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম তাদের ক্ষেত্রে ভাইরাল মেনিনজাইটিস বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। ভাইরাল মেনিনজাইটিস থেকে বাঁচার প্রধান উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। একটু সচেতন হলেই ভাইরাল মেনিনজাইটিস প্রতিরোধ করা যায়। 
 

Leave a Comment