শিশুর আচরণগত সমস্যা যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন!

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • মে ২৫, ২০১৯

১. যা সঠিক মনে হয় সেটা করুনঃ যে সিদ্ধান্তই নেয়া হোক না কেন, তা যেন আপনার, শিশুর এবং পরিবারের জন্য সঠিক হয়। কোনো একটি সিদ্ধান্ত যা আপনি বিশ্বাস করেন না বা আপনার কাছে সঠিক মনে না হয়, তাহলে সে পদক্ষেপ কাজ করবে না। আপনি যা বলছেন সে অনুযায়ী যদি কাজ না করেন, তাহলে এ ব্যাপারটি শিশুদের নজরে আসে।

২. হার মেনে নেবেন নাঃ একবার কোনো কিছু করার সিদ্ধান্ত নিলে, তা করতে পিছপা হবেন না। কোনো কিছুর সমাধান হতে সময় নেয়। সঙ্গী, বন্ধু, অন্যান্য অভিভাবক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক অথবা আপনার ডাক্তারের সাহায্য নিন। আপনি কি করতে যাচ্ছেন সে সম্পর্কে কারো সাথে আলোচনা করা শ্রেয়।

৩. সিদ্ধান্তে অটল থাকবেনঃ শিশুদের ক্ষেত্রে অটল থাকতে হয়। শিশুদের আচরণের প্রতি আপনি আজকে এক ধরণের প্রতিক্রিয়া এবং পরবর্তী আরেক ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখানো যাবেনা। শিশুর সংস্পর্শে বা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে যারা থাকেন, তারাও যাতে একই পদ্ধতিতে সমস্যার সমাধান করেন, সে বিষয়টির প্রতিও নজর রাখা প্রয়োজন।

৪. অতি মাত্রায় প্রতিক্রিয়া দেখাতে যাবেন নাঃ যদি দিনের পর দিন আপনার শিশু বিরক্তিকর কাজ করতে থাকলে, তা আপনার রাগ এবং হতাশা বৃদ্ধির কারন হয়ে দাঁড়াবে। তাদের উপর এই রাগ বা ক্ষোভ প্রকাশ সহজ হতে পারে। যদি এ রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাহলে পুরো পরিস্থিতিই হাতের নাগাল থেকে চলে যাবে।

৫. কখনো কখনো বিরক্তি বা রাগ প্রকাশ না দেখানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, তবে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকার জন্য শিশুকে একবার বলার পর, উভয় পক্ষই উপভোগ করে বা ভালো লাগে এমন কাজ বা বিষয়ের প্রতি মনোনিবেশ করুন। হতাশা কমানোর জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করুন, যা হতে পারে অন্যান্য অভিভাবকদের সাথে আপনার অনুভুতি নিয়ে কথা বলা।

৬. শিশুর সাথে কথা বলুনঃ কোনো বিষয় অনুধাবন করার জন্য শিশুদের কথা বলার সামর্থ্য থাকতে হয় না। যদি তারা বুঝতে পারে কেন আপনি চাচ্ছেন কোনো কাজ তারা করুক, তাহলে তা উপকার বয়ে আনে।

৭. আপনার সাথে কথা বলার জন্য শিশুকে উৎসাহিত করুনঃ শিশুরা কেন রাগান্বিত বা মন খারাপ করে থাকে সে বিষয় বোঝানোর সুযোগ দান তাদের হতাশা কমাতে সহযোগিতা করবে।

৮. পুরষ্কার দিনঃ ভালো আচরণ প্রদর্শনের জন্য শিশুকে পুরষ্কার বা উপহার প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতা করুন। যেমন, তাদের প্রশংসা করুন কিংবা চা বা নাস্তা গ্রহণের সময় তাদের প্রিয় খাবার দিতে পারেন। যদি শিশুর আচরণ ভালো হয়, তাহলে এর জন্য আপনি আনন্দিত সে সম্পর্কে তাকে বলুন। কোনো কাজ করার কথা বললে তা করার পূর্বে উপহার বা পুরষ্কার দিতে যাবেন না। কারন তখন তা পুরষ্কার না হয়ে ঘুষের মতো কাজ করবে।

৯. শিশুকে প্রহার বা মারা থেকে বিরত থাকুনঃ কোনো কাজ করার মুহূর্তে শিশুকে মারলে তা ঐ সময় কাজটি করা থেকে শিশুদের থামাবে, তবে মারা বা প্রহার দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক ফলাফল দেয় না।

টি/আ

Leave a Comment