বাচ্চা কি ঔষধ খেতে চায় না মোটেও? জেনে নিন ঔষধ খাওয়ানোর কিছু টিপস!

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • এপ্রিল ১১, ২০২০

ছোট্ট সোনার অসুখে বাবা-মা অস্থির হয়ে যায়। আরো বেশি দুশ্চিন্তা করে যখন বাচ্চা মুখে ঔষধ তোলেনা। আজ জেনে নিন কিছু টিপস, যেগুলো মেনে চললে বাচ্চাকে ঔষধ খাওয়াতে পারবেন সহজেই।

১. ওষুধ খাবারের সঙ্গে মেশান: ওষুধ দেখলেই বাচ্চা কান্নাকাটি শুরু করে। কিছুতেই খেতে চায় না। ছোট্ট সোনাকে নিয়ে সব মায়েরাই এই সমস্যায় ভোগেন। দুধ বা ফলের রসের মতো তরল খাবারে ওষুধ মিশিয়ে সহজেই খাওয়ানো যায়। তবে শক্ত খাবারে ওষুধ না-মেশানোই ভালো। এতে পুরো খাবারটি না-খেলে ওষুধের ডোজ সম্পূর্ণ হবে না। তবে বাচ্চার ওষুধটি খাবারে মিশিয়ে খাওয়ানো যায় কি না, সে ব্যাপারে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে জেনে নেবেন।

আরো পড়ুন : আপনার শিশুর জন্য ঘরে তৈরী করুন বাদাম মিল্ক পাউডার

২. অল্প করে বারেবারে খাওয়ান: একবারের চেষ্টায় ওষুধ খেতে অনেক শিশুরই কষ্ট হয়। ওষুধের পরিমাণ দেখলে বাচ্চার মনে ভয়ও জন্মায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধটি বারেবারে খাওয়ান। প্রতিবারে অল্প ওষুধ মুখে যায়, ফলে খাওয়ার সময় বাচ্চার তেমন সমস্যা হয় না।

৩. সারপ্রাইজ দিন: বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই উপায়টি দারুণ কাজ করে। শিশুকে বোঝান, ঠিক মতো ওষুধটি খেয়ে নিলে ওর জন্য অপেক্ষা করছে একটা ছোট্ট সারপ্রাইজ। ওর জন্য রাখা সারপ্রাইজটি হতে পারে কোনও নতুন খেলনা বা লজেন্স বা চকোলেট। তবে ওষুধ খাওয়ানোর পর অবশ্যই সারপ্রাইজটি ওর হাতে তুলে দিন। সারপ্রাইজ না দিলে কিন্তু বাচ্চা কষ্ট পাবে এবং ভবিষ্যতে সারপ্রাইজের কথা বললে বিশ্বাস করবে না।

আরো পড়ুন : শিশুর রুচি কমে যায় কেন?

৪. মুখে হাসি রাখুন: বাচ্চাকে ওষুধ খাওয়ানোর সময় আপনার মুখে হাসি রাখুন। এতে আপনার তরফ থেকে ওর কাছে একটি পজিটিভ অনুভূতি পৌঁছাবে। ওষুধ খাওয়ানোর সময় মুখ গোমড়া থাকলে বাচ্চা ভাববে এই জিনিসটা বোধহয় গুরুতর কিছু। এবং সে ওষুধ খেতে চাইবে না।

৫. ফ্লেভারড ওষুধ আনুন: ওষুধের তেতো স্বাদের জন্যই শিশুদের এই জিনিসটি একেবারে পছন্দ নয় । বেশ কিছু ওষুধ নির্মাণকারী সংস্থা এই সমস্যা মেটাতে বাচ্চাদের ওষুধের মধ্যে আঙু্র, কলা-সহ বেশ কিছু ফলের ফ্লেভার যোগ করেছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে, এই ফ্লেভারড ওষুধ ছোট্ট সোনার জন্য কিনে আনুন। এতে ছোট্ট সোনাও ওষুধ খাওয়া উপভোগ করবে, আপনারও চিন্তা মিটবে।

আরো পড়ুন : শিশু বাড়তি খাবার খাওয়া শুরু করেছে? কি কি খাবার দেবেন জানুন!

Leave a Comment