মাথা বড় হওয়ার সমস্যা কী এবং কেন হয়?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • জানুয়ারি ২০, ২০১৮

মাথা বড় হওয়ার সমস্যা বা হাইড্রোক্যাফালাস একটি জটিল রোগ। আমাদের মস্তিষ্কের এক ধরনের তরল রস তৈরি হয়। একে সিএসএফ বলে। এটি দিনে চারশ এমএলের মতো তৈরি হয়। তবে মস্তিষ্ক ধারণ করে দেড়শ এমএলের মতো। মস্তিষ্কের চলার পথ দিয়ে এটি বের হয়ে যায়। যদি বের হতে না পারে, তাহলে তরল জমতে থাকে। এতে মাথা বড় হয়ে যায়। একে হাইড্রোক্যাফালাস বলে।

হাইড্রোক্যাফালাস কী?

মাথা বড় হয়ে গেলে একে আমরা হাইড্রোক্যাফালাস বলি। এটা সাধারণ অর্থে। আসলে আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে এক ধরনের রস তৈরি হয়, যাকে আমরা সিএসএফ বলি। মস্তিষ্কের কিছু কুঠুরি রয়েছে ভেন্ট্রিক্যাল। সেখানে এটি তৈরি হয়। সাধারণত সাড়ে চারশ এমএলের মতো দৈনিক তৈরি হয়। তবে মস্তিষ্ক ধারণ করে দেড়শ এমএলের মতো। সারা দিন মস্তিষ্কের চলার পথে বেরিয়ে যায়। যদি বের হতে না পারে কোনো কারণে, যেভাবে হোক বন্ধ হয়ে গেলে, ওই তরল জমতে থাকে। জমতে জমতে ভেন্ট্রিক্যাল বড় হতে পারে। এই অবস্থানকে বলা হয় হাইড্রোক্যাফালাস। বয়স্কদের ক্ষেত্রে মাথা তো তৈরি হয়ে যায়, এ জন্য বোঝা যায় না। তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটি খুব দৃশ্যমান। হাইড্রোক্যাফালাস প্রবীণদেরও হয়, শিশুদেরও হয়।

হাইড্রোক্যাফালাস হয় কেন?

হাইড্রোক্যাফালাস নির্দিষ্ট কারণে হতে পারে। বয়স্কদের মস্তিষ্কে যদি কোনো সংক্রমণ হয়, যেমন ম্যানিনজাইটিস। কোনো আঘাত হলো, আঘাতের বেশ কিছুদিন পর হাইড্রোক্যাফালাস ধরা পড়তে পারে। আঘাতের ধারাবাহিকতায় এটি তৈরি হয়। যাওয়ার যেই পথ একে বন্ধ করে দেয়। অথবা টিউমার যদি হয়, মস্তিষ্কের টিউমারের সঙ্গে হাইড্রোক্যাফালাস আমরা অনেক সময় দেখি। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় বা জন্মের পর হাইড্রোক্যাফালাস হতে পারে। এখনকার দিনে সিজারিয়ান সেকশন খুব বেশি ব্যবহৃত হওয়ার কারণে ডেলিভারি সহজে হয়ে যায় । পরে আলট্রাসাউন্ড করে বুঝা যায় বাচ্চার হাইড্রোক্যাফালাস হয়েছে। জন্মের পরও যদি তার নিউনেটাল ইনফেকশন হয়, বুকের ইনফেকশন হয়, তার ধারাবাহিকতায় এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এটিও হাইড্রোক্যাফালাস তৈরি করতে পারে। অথবা কিছু জন্মগত টিউমার তৈরি হয়, এটি থেকে সমস্যা হতে পারে।

তথ্য এবং ছবি : গুগল 
 

Leave a Comment