‍‍`সম্পর্ক‍‍`

  • সুমনা বাগচী
  • জানুয়ারি ৩১, ২০২১

আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো "সম্পর্ক"। মাতৃ গর্ভে ভ্রূণের সৃষ্টি থেকে আমাদের সম্পর্কের সূচনা হয়। আস্তে আস্তে মাতৃ গর্ভে নিরাপত্তা থেকে জন্ম পরবর্তী সময়ে অবিচ্ছেদ্য বন্ধনের মাধ্যম হলো সম্পর্ক। সেক্ষেত্রে এটা বলা যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত যে সম্পর্কের ধারা আমরা মাতৃ গর্ভ থেকেই বয়ে নিয়ে চলি আর যার প্রকাশ আমাদের সারা জীবন ধরে এগিয়ে চলে। একজন শিশুর পারিবারিক পাঠ হলো সম্পর্ক। সেখানে ভালোবাসা, মনের টান, মায়া, সব কিছুই তার পরবর্তী জীবনে প্রভাব ফেলে।

আরো পড়ুনঃ রাতে ভালো ঘুমের পর‌ও সকালে ক্লান্ত লাগে? কারণ ও সহজ সমাধান!

কিছু শিশুদের মধ্যে নিরাপত্তা হীনতা,রাগ,অন্য কাউকে গায়ে হাত তোলার প্রবণতা দেখা যায়।তখন আমরা প্রত্যেকেই জাজ করে বলি,বাচ্চা টিকে তার মা কোনো শিক্ষা দেয় নি।আমরা প্রত্যেকেই তার ব্যবহার কেই বিচার করে অনায়াসে মা কে দোষ দি।কিন্তু শিশুটির সমস্যা বুঝতে পারি না। এক্ষেত্রে দেখা যায়,মা খুব শান্ত আর সবটাই নিরবে মেনে নেন। পরিবারে বাবা কিংবা অন্য কোনো সদস্যের ব্যবহার এক্ষেত্রে শিশুটির ব্যবহারের জন্য দায়ী হতে পারে। অথবা শিশুটির সব আবদার মেনে নেওয়া এই সমস্যার বিশেষ কারণ হতে পারে। এই ভাবে শিশুটি বড়ো হয়,বৃহত্তর জগতে প্রবেশ করে।তখন নতুন মানুষের সংসর্গ আর নিজেকে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে শেখা তে তার মধ্যে পরিবর্তন আসে।

এরকম ঘটনা পরিবারে অনেকের মধ্যেই আপনি পরিলক্ষ করতে পারেন। আবার এর ব্যতিক্রম আছে। কমিটমেন্ট,বিশ্বাস রাখা, সত্যি কথা বলা,মনের মিল আর সম্পর্কের গুরুত্ব একটি পরিবার শেখায়। এরকম অনেকেই আছেন,যারা ছোটো বেলা থেকে সঠিক শাসন পাননি।সেখানে মিথ্যা বলার মধ্যে নিজেকে নিপুণ ভাবে বাঁচিয়ে নেবার ট্রিকস শিখেছেন, এভাবেই কাজের জগত, প্রেমিকা, স্ত্রী অথবা প্রেমিক, স্বামী আর পরবর্তী কালে সন্তান লালন পালনের ক্ষেত্রেও একই সমস্যায় ভোগেন ।কারণ তাঁর গোড়ায় গলদ। কাউন্সেলিং করার সূত্রে এমন অনেক ঘটনা চোখের সামনে আসে সেখানে ছোটো বেলায় বড়ো হওয়া আর শিক্ষা গ্রহণের মধ্যে সমস্যার বীজ অঙ্কুরিত হয়। তাই যখনই বাবা মা সন্তান কে নিয়ে আসেন। সেখানে দেখা যায়। এমন অনেক ভুল বাবা মা করেন যার ফলে শিশুর মধ্যে সেই সমস্যা চলে আসে। আমাদের কি করণীয়? সত্যি কথা বলা আর সততার পাঠ গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুনঃ মূত্রনালীর সংক্রমণ বা প্রস্রাবের সমস্যা দূর করতে ৭টি ঘরোয়া টিপস!

আর এই সত্যি বলার অভ্যাস থাকলে একজন মানুষ কে বিশ্বাস ও ভরসা দুই করা যায়।মন ভোলানোর মিথ্যা তে মুক্তি নেই। বরণ মিথ্যার জালে আটকা পড়ার সম্ভবনা আছে। বাবা মা কিংবা পরিবারের সমস্যা শিশুর মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলে। কিন্তু এটাও সত্যি আমরা প্রত্যেকেই মানুষ তাই প্রকাশ করে ফেলি। কিন্তু শিশুর কথা ভেবে বিষয় টি খেয়াল রাখা কর্তব্য। অযথা সমালোচনা করা শিশুদের জন্য ঠিক না।তার সামনে তার পরিবার বিষয়ে কিংবা অন্য কোনো ব্যাক্তির বিষয়ে কটু কথা বললে তার মধ্যে প্রকাশ পায়। আমাদের কথা আমাদের প্রকাশ।

তাই কথা বলার সময় খেয়াল রাখতে হবে। প্রোডাক্টিভ, সৃজশীলতাকে গুরুত্ব দিন। শিশুর মধ্যে সেই বিষয়ে বিকাশ ঘটবে। মনে রাখবেন সম্পর্ক আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই পৃথিবীতে সম্পর্ক আর আত্মীয়তা কে আমরা মর্যাদা দিন। তাই সম্পর্কের নাম করণ গুরুত্বপূর্ণ না। সেই সম্পর্ক কে সাথে নিয়ে এগোনো হলো মনুষত্বের সঠিক পরিচয়।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment