‍‍`আঁধার রাণী‍‍`

  • কামরুন নাহার স্মৃতি
  • এপ্রিল ১০, ২০২১

বাড়িতে পাত্রপক্ষ আসবে এ নিয়ে ভীষণ রকম তোড়জোড় চলছে পুরো বাড়িতে। নীপার এসব বাড়াবাড়ি টাইপ জিনিস একদম পছন্দ নয়। হ্যা বাড়িতে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে কিন্তু এ তো প্রথমবার নয়, এর আগেও অনেকে এসেছিল আবার চলেও গেছে। থেকে যাওয়ার জন্য কেউ আসেনি বরং চলে যাওয়ার মন মানসিকতা নিয়েই সবাই এসেছে। এবার নিয়ে চল্লিশের কোঠাও পার হয়ে যাবে, চল্লিশের কোঠা পার করা ব্যাপারটা একেবারেই সামান্য নয়... ভাবতেই বুক চিড়ে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে নীপার।

বাড়িতে কিংবা বাহিরে, আনাচেকানাচে, পাড়াপড়শির বাড়িতে বাড়িতে গুঞ্জন ওঠে প্রতিনিয়ত নীপা তা ভালোই জানে। নীপার বাবা - মাকে পেলেই কেউ কেউ কীর্তন শুরু করে, অনেকসময় গায়েন। সময় পেলেই কেউ কথা শুনাতে ছাড়ে না, সাথে গিয়ান ফ্রি। নীপার বাবা মায়ের দুঃখের অন্ত নেই, মেয়ের বয়স যে ঢেউয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে। বাবা - মায়ের দীর্ঘশ্বাস আর না পাওয়া দুঃখ গুলোও মেয়ের বয়স থামিয়ে রাখতে পারে না কিংবা পাড়াপড়শির এতো মাথাব্যথা, চিন্তাও পারেনা নীপার বয়সটা বেঁধে রাখতে, বয়স নিজ গতিতে চলে। নীপার বাবা মাঝে মাঝে ভাবে বছরগুলো আজকাল এতো তাড়াতাড়ি যায় কেন! আগে বছর কতো ধীরে ধীরে যেত।

আরো পড়ুনঃ বাড়তি ওজন দ্রুত কমাতে রাতের খাবার যেমন হওয়া জরুরী

নীপা আজকাল আর এসব নিয়ে ভাবে না, স্বপ্নও দেখে না সংসার করার কিংবা অন্য একজনের রঙ্গে নিজেকে রাঙ্গাবার কারন সে আজ জানে এসব কল্পনা মাত্র, বাস্তবতা নির্মম আর কঠিন। বাড়িতে মানুষের যেন মেলা বসেছে, বেশি মানুষজন দেখতে নীপার কেমন যেন ইতস্তত বোধ হয়, ব্যক্তিগত বলে যেন কিছুই থাকে না! নীপাও একদিন স্বপ্ন দেখত সংসার করার, জীবন যুদ্ধে কারো হাত ধরে এগিয়ে যাবার, নিজের সমস্ত না বলা কথা বুঝে নেবার মতো কাউকে পাশে পাবার কিন্তু এসব আজ অলীক স্বপ্ন মাত্র। নীপার ভাবি - মামি - চাচি সবাই উপস্থিত, এতো কাছের মানুষের মাঝেও নীপাকে খুব একা লাগে, খুব অসহায়। নিজের অবস্থান যখন শূন্যের কোঠায় তখন অতি আপনজনের মাঝেও একাকিত্ব ছুঁয়ে যায় ভীষণভাবে।

নীপার মামি নীপার চুল বেঁধে দেওয়ায় ব্যস্ত, চাচি শাড়ি ঠিকঠাক করতে আর ভাবি মেকাপ বক্স হাতে লেগে পড়েছে। সবার দায়িত্ব শেষ হলে নীপা আয়নার দিকে তাঁকায়। গোলাপি জামদানি শাড়ি, কপালে ছোট্ট টিপ, চোখে কাজল, ঠোঁটে গোলাপি লিপস্টিক, হাতে চুড়ি আর পুরো মুখ জুড়ে মেকাপ দিয়ে সাদা করার ব্যর্থ প্রয়াস! নীপার কালো ঠোঁট ও গোলাপি করার কি ইচ্ছে সবার! নীপা ছোট বেলা থেকেই পড়াশুনা, বাগান নিয়ে ডুবে ছিল। নিজেতে ডুবে যাওয়ার মতো সময় তার ছিল না। কখনো কখনো মুখে কতদিন স্নো দেয়া হয়নি সেই হিসাবটাও জানত না আর তারই জন্য আজ তাকে মেকাপের রঙ্গে নিজেকে রাঙ্গানোর ব্যর্থ প্রয়াস করতে হয়।

'সম্পর্ক আর বিয়ের ক্ষেত্রে গুণ কিংবা শিক্ষার চেয়ে ময়দা সুন্দরীর কদর বেশি।' পড়াশুনা যার সমস্ত ভালোলাগা, ভালোবাসা জুড়ে ছিল তখন ধীরে ধীরে নীপা উপলব্ধি করল এই স্বার্থপর দুনিয়াতে আজকাল শিক্ষার চেয়ে সাদা চামড়ার দাম বেশি। সাদা চামড়া পাওয়ার জন্য একজন মানুষ খুব সহজেই কোরবানি দিতে পারে সবটা। আর বিয়ে? সেখানে ময়দা সুন্দরীর যে কি দাম তা নীপা খুব ভালো করেই জানে। কলেজে পড়ার সময় যখন সবাই প্রেম, ভালোবাসা আর প্রেমিকের সাথে সেটিং - ডেটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকত তখন নীপা তার চোখ দুটো ডুবাতো বইয়ের পাতায়। হ্যা সে বুদ্ধিমতী, ভালো ছাত্রী কিন্তু এই সমাজে এসবের দাম কোথায়?

এই সমাজে কালো মানেই কুৎসিত, খারাপ, নোংরা, পঁচা আর সাদা মানেই শুভ্র। অথচ বোকা মানুষগুলো বোঝে না, সাদাতেই ডুবে থাকে হাজার হাজার কালো! কলেজ পড়াকালীন সবাই যখন প্রেমে বিভোর তখন নীপার মনটাও চাইতো কেউ তার জীবনে আসুক আর নীপা সবটা ভালোবাসা দিয়ে মুড়িয়ে রাখবে তাকে, এতোটুকু কষ্ট আঘাত সইতে দেবে না তাকে কিন্তু কালো বলে তার জীবনে কেউ আসেনি স্বপ্নগুলো নিয়ে।

আরো পড়ুনঃ বাচ্চার ওজন বাড়ানোর জন্য নিরাপদ ২টি খাবার!

কেউ গোলাপ হাতে রাস্তার মোড়ে দাঁড়ায় নি, কেউ চকলেট হাতে কলেজ গেটে আসেনি, কেউ তাকে ভেবে সারারাত জেগে কবিতা লেখে নি, কেউ গল্পের নায়িকা করেনি তাকে, কেউ লেখেনি তাকে ডায়েরির পাতায় খুব যত্ন করে কিংবা কেউ ঠাঁই দেয়নি খুব আলতো করে হৃদয়ের পুরোটা জুড়ে! বাহিরের রংটাই কি আসল আর ভেতরটা? ভেতরটার কি কোন দাম নেই কারো কাছে! বাবা মায়ের অসহায় চাহনি আজকাল আর স্বপ্ন দেখায় না নীপাকে। নীপাও ভাবে বাবা মাকে মুক্তি দেয়া দরকার আর পাড়া-পড়শিকেও একটু শান্তি দেয়া দরকার কিন্তু বিয়েই কি সব সমস্যার সমাধান? সত্যিই কি বিয়েই মুক্তি না কি শাস্তি! জানেনা নীপা আর জানতেও চায়না কিন্তু বাবা মায়ের এই অসহায়ত্ব মেনে নেওয়া যায় না। নীপার মাঝে মাঝে মনে হয় ইসস,যদি সেও ফর্সা হয়ে যেত হঠাৎ করে কিন্তু না তা হয় না। কসমেটিক এর দোকানে গিয়ে ভালো ব্রান্ডের ক্রিম কেনে, ১০০%গ্যারান্টি সহ ফর্সা ও উজ্জ্বলতা কিন্তু তাতেও কাজ হয়না।

প্রতিরাতে ক্রিম দিয়ে ফর্সা, সুন্দর হওয়ার কত আপ্রান চেষ্টা করে আর ঘুমহীন রাতগুলো বালিশ ভিজিয়ে কাটায়। প্রথম প্রথম বিয়ে নিয়ে বেশ আপত্তি করত নীপা, অমন ছেলে হবে না, অমন চাকরি হবে না, অমন পরিবার হবে না, অমন সংসার হবে না কিন্তু এখন আর কোন আপত্তি করে না নীপা কারন সে জানে বিয়েটাই এখন বড্ড কঠিন।

পাত্রপক্ষ এসে গেছে বসতে দিয়ে নীপার ভাবি নীপাকে নিয়ে পাত্রপক্ষের সামনে আসে। নীপার নিজেকে কেমন জোকার জোকার লাগে মাঝে মাঝে, অন্যকে হাসানোর জন্য নিজের কষ্ট লুকিয়ে রেখে কি শান্তভাবে ঠোঁটে হাসি ফোটানো! বইয়ের জগত এ যখন নীপা ডুবে থাকত তখন কি ভালোই না ছিল সবকিছু অথচ বাস্তবতার এই জগত কেমন বিপরীত।

পাত্রপক্ষ চলে গেলে নীপা জোকারের সাজসজ্জা ছেড়ে আবার সেই নিজের মধ্যে ফিরে এল, এতোক্ষন যেন দেহটা তার ছিল কিন্তু আত্নাটা অন্য কারো। আজকাল বাবার পাশে বসেই নীপা নিজের বিয়ের আলোচনা শোনে, ঘটক বাড়িতে এলে ছলেবলে পালিয়ে যায় না, মায়ের মুখে বিয়ে কথাটা আর তাকে এলোমেলো করে দেয়না। বাবা দুশ্চিন্তা নিয়ে গা এলিয়ে বসে আলোচনা করছে, নীপাও তাতে যোগ দেয়। ছেলের বাবা জানিয়েছে। মেয়ে নিয়ে তাদের বেশ আপত্তি আছে, রঙটা একটু বেশিই কালো।

পড়াশুনা অনেক আছে কিন্তু মেয়েদের পড়াশুনা কে দেখে বলেন? সবাই যখন বউ দেখতে আসবে তখন আগে চেহারা আর গায়ের রঙটাই দেখবে। চেহারা আছে কিন্তু গায়ের রঙ আর বয়সটাও। মেয়েদের বয়স তো জানেনই আঠারো মানেই আজকাল অযোগ্য আর সেখানে আপনার মেয়ের একুশ - বাইশ। আমার ছেলে দেখতে ভালো, ভালো চাকরি করে তবে বয়সটা একটু বেশি। আসলে দুইবিয়ে করা ছেলে তো তাই আর কি! তবে লোকে বলে ছেলেদের বয়স নাকি ধরতে নেই। ভেবে দেখেন কি করবেন তবে হ্যা আমাদের সামান্য চাওয়া আছে.. মেয়েটাকে ৩ভরি গহনা দিয়ে সাজায় দিবেন যাতে সোনার ফাঁকে রঙটা কারো চোখেই না পরে আর আমার ছেলেকে একটা মোটরসাইকেল। আর কিছু চাইনা!

আরো পড়ুনঃ সিজারের পর বেল্ট ব্যবহারের সুবিধা এবং কখন পড়া যাবে না!

বলেই আবার মাথা নিচু করল নীপার বাবা। এ নিয়ে চল্লিশ ঘর এলো গেলো। চল্লিশের কোঠা যে আজ পেরিয়ে গেছে আর কতোদিন মেয়েকে ঘরে রাখা যায়! নীপার এসব শুনে হঠাৎই কান্না পায়, রঙটা কালো বলে তার আর তার পরিবারের এতো ভোগান্তি। কেন? কালো বলে কি মানুষ নয় সে! নাকি কালো মানুষগুলোর মন থাকে না! ভাবতে ভাবতেই কান্নায় গলা ধরে আসে নীপার। নীপা বাবার বুকে মাথা লুকিয়ে ধরে আসা গলায় ফিসফিসিয়ে বলে,

আমাকে পর করে না দিলেই না বাবা, আমাকে তোমাদের কাছে চিরদিনের মতো রেখে দিতে পারোনা তোমরা? সবারই যে বিয়ে করতে হবে, সংসার করতে হবে তা তো না! আমি না হয় এভাবেই রয়ে গেলাম!

নীপার বাবা কাঁদছে, কি বলবে মেয়েকে কিছুই জানেনা। নীপার মা আঁচলে চোখ মুছে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,

- এ হয় না মা, রাজার মেয়েও যে বাপের বাড়ি থাকতে পারে না মা।

একটু থেমে বলে..

- নীপার বাবা তুমি কথা বলো, এই বিয়েই হবে।

নীপার বাবা একটু ভেবে বলে..

- কিন্তু ছেলে যে দুই বিয়ে করা।

- তাতে কি..! দেখো তুমি। সংসার ভালো, ছেলে ভালো আর কি দরকার!

কয়েকদিনের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যায়, হ্যা শেষ পর্যন্ত নীপার বিয়ের স্বপ্ন পূরন হচ্ছে তবে এটা বিয়ে, না মুক্তি তা জানা নেই কারো! সংসার মানেই নীপার জন্য শুরু সংসাজ। কালো বলে যেখানে ঢেকে নেয়া হচ্ছে সোনায়, সেই সংসারে কতো সুখ হবে সে জানা কথা। তবুও বাবা মাকে অস্বস্তি থেকে মুক্তি দিতেই হবে ভেবে নীপা রাজি হয়ে যায়!

বিয়ের আসরে বসে আছে নীপা, বিয়ে বাড়ি থেকে অনেক লোক এসেছে আর তার হবু স্বামীর নাকি আগের পক্ষের বাচ্চাও আছে তা ভালোই হলো নীপার, খারাপ কি মা হবে সে কষ্ট যন্ত্রনা ছাড়াই! সবাই দলে দলে নীপাকে দেখতে আসছে। ছেলে পক্ষের অনেকে মেয়েকে দেখে আড়ালে গুজুরগুজুর ফুসুরফাসুর করছে কিন্তু নীপা তাতে কান দেয়না, বয়েই গেছে তার এসব নিয়ে ভাবতে! বিয়েটা হয়েও যায় নীপার। বাবা মাকে এবার মুক্তি দিতে পেরেছে সে, হ্যা মুক্তি পেয়েছে পড়শিরাও, তাদের আর কষ্ট করে বাড়ি বাড়ি নীপাকে টানতে হবে না! বাবা মায়ের অসহায় দৃষ্টিতে আজও ভর করে আছে অসহায়ত্ব আর যন্ত্রনা। হয়তো নীপা এ অসহায়ত্ব থেকে কখনোই মুক্তি দিতে পারবে না।

নীপার চোখে পানি ঝলমল করে কিন্তু গড়ে পড়ে না কারন আজ সে পাথর হয়ে গেছে যেখানে আঘাত আসে কিন্তু কান্না না! বাবা মায়ের থেকে বিদায় নিয়ে রওনা হয় নতুন পথে, নতুন খোঁজে! বিয়ের সব নিয়ম শেষে বাসরঘর এ ঢোকে নীপা। এই ঘর, এই রাত নিয়ে সবার কত স্বপ্ন অথচ তার চোখে স্বপ্ন নেই বরং স্বপ্ন ভাঙ্গার যন্ত্রনা আছে। নীপার স্বামী ঘরে ঢুকে নীপার দিকে তাঁকিয়ে হো হো করে হেসে উঠল, নীলা অপ্রস্তুত হয়ে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে। নীপার স্বামী হাসি থামিয়ে বলে...

--ওহ গড, তুমি এতো কালো। বিদ্যুৎ গেলে তো তোমাকে খুজেও পাওয়া যাবে না। অন্ধকারে তুমি তো হারিয়ে যাবে।

বলেই আবার সেই হাসি, হাসিটা যেন নীপার বুক চিরে বেরিয়ে আসতে চাইছে। যেই মানুষটার কাছে দিনশেষে নিপা নিজের অপারগতা, না পাওয়া লুকোবে সেই মানুষটাই তাকে নিয়ে নির্লজ্জ কৌতুক করছে! ভাবতেই কান্না পায় নিপার।

নীলা অস্ফুট স্বরে বলল,

"কালো আর ধলো বাহিরে কেবল

ভেতরে সবারই সমান রাঙ্গা! "

নিপার স্বামী স্পষ্ট করেই বলল,

দেখ, আমি তোমার মতো এমন অন্ধকারে নিজেকে ডুবাতে পারব না। তুমি সংসার পেয়েছো, সন্তান পেয়েছো কিন্তু স্বামীর আশা করোনা। সন্তানদের জন্য আর বাবার কথায় এই বিয়ে। আমাকে নিজের করে পাবার আশা বুকে পুষে রেখোনা, কষ্ট পাবে!

কথাগুলো শুনে নিপার বুকের ভেতর দুমড়ে মুচড়ে শেষ হয়ে যেতে চাইলেও তার হাসতে ইচ্ছে করছে যে মানুষটা সারাজীবন কষ্ট পেয়ে এসেছে তার নতুন করে কষ্ট পাবার আর কি আছে! কষ্টেরা এতো সহজে সবাইকে ছুঁতে পারেনা। নিজের মতো করেই নিজেকে পালটে নিয়েছে নিপা, সংসারে যতটা সুখ ঠিক ততটাই গঞ্জনা - তিরস্কার আর সাথে পাল্লা দিয়ে নিপাকে নিয়ে সবার উপহাস।

বিয়ের বেশকিছুদিন পর থেকে নিপা চাকরির জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। চাকরিটা যে তার চাই, চাইই। চাকরিটা পেলে স্বামী কিংবা বাবা কারো উপর নির্ভর করে চলতে হবেনা। বেশ কিছুদিনের মধ্যে নিপা ভালো একটা চাকরি পেয়ে যায়। চাকরির ক্ষেত্রে তার কালো হওয়াটা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি বরং পড়াশুনা আর মেধাটা নিপার সমস্ত না পাওয়ার হিসাবটা পালটে দিয়েছে।

আরো পড়ুনঃ ঘুমের সমস্যা, পেট ব্যথা, অতিরিক্ত ওজন কমাতে জিরার দারুন টোটকা!

চাকরি পাওয়ার বেশ কিছুদিনের মধ্যেই পালটে যায় নিপার শ্বশুরবাড়ির পরিবেশ। এখন আর তার স্বামী কথায় কথায় তাকে আঁধার রাণী বলে ডাকেনা বরং বেশ ভালোবাসায় আর হাসিমুখে নিজের অধিকার দিয়ে দিয়েছে। শ্বশুর কিংবা শাশুড়ি এখন আর কথায় কথায় উপহাস করেনা বরং বেশ গর্বের সাথেই বলে বেড়ায় বউমার গুণ, শিক্ষা, ভদ্রতা, নম্রতা।

অথচ এই মেয়েটাই সেদিন কালি, আঁধার রাণী আর সবার উপহাসের পাত্রী ছিল। সময়ের সাথে পালটে গেছে সবটা। প্রতিমাসে পরিবার চালানোর খরচে বেশ টাকা দেয় নিপা, সময়ে অসময়ে শ্বশুর শাশুড়ি কিংবা স্বামীর হাতে হাসিমুখেই টাকা তুলে দেয় নিপা। আজকাল ভালোবাসার মানেটা নিপার কাছে খুব পরিষ্কার। স্বার্থ ছাড়া ভালোবাসা রঙ পায়না, রংহীন - ফ্যাকাসে লাগে সবটা। ভালোবাসার পুরোটা জুড়েই যে স্বার্থ তা নিপা বেশ বোঝে, হোক তা টাকা কিংবা সৌন্দর্য।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থার অষ্টম মাসে ৬ টি খাবার খাওয়া অবশ্যই বাদ দিবেন

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment