গর্ভাবস্থায় ভেরিকোস ভেইন

  • তাসফিয়া আমীন
  • আগস্ট ১৬, ২০২১

এটি শিরা বা রক্তনালীর একটি রোগ। শরীরের কোনো অংশের শিরা যদি প্রসারিত হয়ে যায় অর্থাৎ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে বড় হয়ে যায় তখন তাকে ভেরিকোস ভেইন বলে। নীল বা বেগুনি রং ধারণ করা এই শিরাগুলো চামড়ার উপর দিয়েই দেখা যায়। গর্ভাবস্থায় ভেরিকোস ভেইন নিতম্বে বা যোনী এরিয়াতেও দেখা দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ভেরিকোস ভেইন কেনো হয়?

গর্ভকালীন অবস্থায় মায়ের জরায়ু বেড়ে যাওয়ার কারণে শরীরের শিরার উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে যেকারণে পায়ের শিরাতেও চাপ সৃষ্টি হয়।

আরো পড়ুনঃ আলু দিয়ে মলা মাছ  রান্না

এই অতিরিক্ত চাপের কারণে ভেরিকোস ভেইন হয়। যদি পরিবারের অন্য কারো ভেরিকোস ভেইনের ইতিহাস থেকে থাকে তাহলে গর্ভাবস্থায় এর ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। গর্ভবতীর অতিরিক্ত ওজন এবং জমজ বাচ্চা গর্ভে থাকলেও এটি হতে পারে।

ভেরিকোস ভেইন কি ঝুঁকির কারণ?

ভেরিকোস ভেইন হলে চুলকানি বা ব্যথা হতে পারে কিন্তু এগুলো সাধারণত তেমন ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ভেরিকোস ভেইনের কারণে শিরায় রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। এমনটা হলে শিরা শক্ত হয়ে যায়। এর আশেপাশের জায়গা লাল হয়ে যায়। তখন ব্যথাও হতে পারে। যদি এধরণের লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে। কারণ ঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে এটি আরো জটিল হতে পারে। রক্ত জমাট বাঁধা স্থানের চারপাশে ইনফেকশন হতে পারে। তাই দ্রুত এর চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।

করণীয় কি?

কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে গর্ভাবস্থায় ভেরিকোস ভেইন প্রতিরোধ করা যায়।

- পায়ের উপর বেশিক্ষন ভর দিয়ে থাকা যাবে না।

- শুয়ে থাকলে পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে পা উঁচু করে রাখবেন। পা ঝুলিয়ে বসা যাবে না।

- হাঁটাচলা করুন। হাঁটার ফলে পায়ের কাফ মাসলের নড়াচড়া হয় যেটা ভেরিকোস ভেইন প্রতিরোধ করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ বাদাম, চন্দনে ত্বকের যত্ন নিন

- খাবারে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করুন।

- ঢোলা ও আরামদায়ক কাপড় বা পায়জামা পড়ুন।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment