মেঘের রাজ্য সাজেক সম্পর্কে পড়ুন 

  • ইয়াসিন প্রধান সাজিদ 
  • জুন ১৩, ২০২০

কথা বলতে যাচ্ছি বাংলাদেশের ভ্রমণকারীদের সবচেয়ে পছন্দের জায়গা মেঘের রাজ্য নিয়ে। হ্যা, সাজেক যেখানে প্রায় সবসময় ই মানুষ ভ্রমন করতে আসে, তাদের মানসিক শান্তি আর ভ্রমণ চাহিদা মেটানোর এক কঠোর শক্তি রাখে সাজেকের প্রকৃতি। রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত। সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের সাজেক ইউনিয়নের একটি বিখ্যাত পর্যটন স্থল। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রুইলুই পাড়া ১,৭২০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, আর সাজেকের কংলাক পাড়া ১,৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। সাজেক ভ্যালি দেশে "রাঙামাটির ছাদ" নামেও পরিচিত। কর্ণফুলী নদী থেকে উদ্ভূত সাজেক নদী থেকে সাজেক ভ্যালির নাম এসেছে।

অসম্ভব সুন্দর এই সাজেক ভ্যালী রুইলুইপাড়া এবং কংলাক পাড়ার সমন্বয়ে গঠিত। সাজেকে লুসাই, পাংখোয়া এবং ত্রিপুরা উপজাতি বসবাস করে। রাঙামাটি জেলার অধিকাংশ অংশই দেখা যায় সাজেক ভ্যালি থেকে। এই জন্যেই মূলত সাজেক ভ্যালিকে রাঙামাটির ছাদ বলা হয়। সাজেকে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী মানুষের বসবাস রয়েছে। তাঁদের বাড়িঘর বাঁশের মাচানের উপর তৈরি করা হয়ে থাকে।

সাজেক ভ্যালি রাঙামাটি জেলার সর্বউত্তরের মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত আছে। খাগড়াছড়ি জেলা থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার এবং দীঘিনালা থেকে প্রায় ৪৯ কিলোমিটার। সাজেক ইউনিয়ন হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন, যার আয়তন প্রায় ৭০২ বর্গমাইল। সাজেকের উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে রাঙামাটির লংগদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা অবস্থিত।

সাজেকের সর্বত্র জুড়ে মেঘ, পাহাড় আর সবুজ। সাজেক থেকেই সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেয়া যায়। কংলাকে যাওয়ার পথে মিজোরাম সীমান্তের বড় বড় পাহাড়, আদিবাসীদের জীবনযাপন, চারদিকে মেঘের আনাগোনা দেখা যায়। সাজেকের রুইলুই পাড়া থেকে ট্রেকিং করে কংলাক পাহাড়-এ যাওয়া যায়। কংলাক পাড়া হচ্ছে সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া।

সাজেকের দৃশ্য দেখে যেকোনো মানুষ জায়গা টার প্রেমে পড়ে যায়। তাই সুযোগ হলেই মানুষ ছুটে চলে এই প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাথে প্রেম মাতাতে।

তথ্যঃ গুগল
লিখাঃ সাজিদ

Leave a Comment