বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন রাতারগুল সম্পর্কে পড়ুন 

  • ইয়াসিন প্রধান সাজিদ 
  • জুন ১৭, ২০২০

রাতারগুল জলাবন বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন যা সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত। এই বনের আয়তন ৩,৩২৫.৬১ একর, আর এর মধ্যে ৫০৪ একর বনকে ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও তার মধ্যের ২০৪.২৫ হেক্টর বনভুমিকে ৩১ মে ২০১৫ তারিখে বাংলাদেশের বন অধিদপ্তর বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা ঘোষণা করে। এটি পৃথিবীর অন্যতম কয়েকটি জলাবনের মধ্যে অন্যতম একটি। রাতারগুল বনকে বাংলাদেশ সরকারের বনবিভাগের অধীনে সংরক্ষণ করা হয়েছে। সিলেটের ভাষায় মুর্তা বা পাটি গাছকে "রাতা গাছ" নামে পরিচিত করেছে। সেই রাতা গাছের নামানুসারে এ বনের নামকরণ করা হয়েছিল রাতারগুল।

সিলেট জেলায় গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নের গুয়াইন নদীর দক্ষিণ পাশে এই বনের অবস্থান। বনের দক্ষিণ দিকে আবার রয়েছে দুটি হাওর,শিমুল বিল হাওর আর নেওয়া বিল হাওর। রাতারগুল বনে সবচেয়ে বেশি জন্মায় করচ গাছ। বর্ষাকালে এই বন ২০–৩০ ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত থাকে। বাকি সারা বছর, পানির উচ্চতা ১০ ফুটের মতো থেকে থাকে।

রাতারগুল মূলত প্রাকৃতিক বন তবে পরবর্তিতে বাংলাদেশ বন বিভাগ এখানে বেত, কদম, হিজল, মুর্তাসহ নানা জাতের জলসহিষ্ণু গাছ লাগিয়েছে। তাছাড়াও জলমগ্ন এই বনে রয়েছে হিজল, করচ আর বরুণ গাছের দেখা মিলে। এখানে আরো আছে পিঠালি, অর্জুন, ছাতিম, গুটিজাম আর আছে বট গাছও। রাতারগুলে সর্বমোট ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে ।

রাতারগুলের জলে ডুবে দাঁড়িয়ে থাকা বনের গাছগুলোর সৌন্দর্য দেখতে বিভিন্ন সময়ে এখানে ভিড় করেন পর্যটকগণ। বনের ভিতর ভ্রমণ করতে দরকার হয় নৌকার, তবে সেগুলো হতে হয় ডিঙি নৌকা। তবে রাতারগুল বনে ভ্রমণ করতে অনুমতি নিতে হয় রাতারগুল বন বিট অফিস থেকে। সিলেটের এই অপরুপ সৌন্দর্যে ভরা রাতারগুলে ভরপুর রয়েছে গাছ ও নদীর মিশ্রিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

তথ্যঃ গুগল
লিখাঃ সাজিদ

Leave a Comment