শিশুর দুধ দাঁতের যত্ন

  • কবিতা আক্তার
  • এপ্রিল ১০, ২০২২

লেখাপড়ায় মনোনিবেশ সহ মানসিক বিকাশে ও দুধের দাঁত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই শিশুর দাঁতের যত্নে সচেতন থাকতে হবে অভিভাবকদের।

দন্ত চিকিৎসকদের মতে, শিশুর দাঁতের যত্ন নেওয়ার সময় অভিভাবকরা বেশ কিছু ভুল করে থাকেন। যেমন:

১. শিশুরা নিজে থেকে ব্রাশ করতে পারলেই অভিভাবকরা আর সেদিকে নজর দেন না। শিশুরা আদৌ ঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ করছে কিনা সেটা নজরে রাখা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। দন্ত চিকিৎসকদের মতে ছয় থেকে সাত বছর পর্যন্ত অভিভাবকরাই সেই দায়িত্ব পালন করলে সবচেয়ে ভালো।

আরো পড়ুনঃ স্লিম ফিগার, সুন্দর ত্বক পেতে প্রতিদিন সকালে ডিটক্স ওয়াটার!

২. শিশুদের ফিডারে দুধ খাওয়ালে তাদের মারি উঁচু হয়ে যেতে। মুখে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ও হতে পারে ফিডার ব্যাবহারে। তাই দুধ খাওয়ানোর পর পর এই একটি আমলে পরিষ্কার সুতির কাপড় নিয়ে মুখ পরিষ্কার করে দিতে হবে। ফিডার এর পরিবর্তে শিশুদের চামচ দিয়ে দুধ খাওয়ানোয় বেশি ভালো। এছাড়া ফিঙ্গার ব্রাশ দিয়ে ও শিশুর মুখ ও দাঁত পরিষ্কার করা যেতে পারে।

৩. অনেক শিশুই সারাক্ষণ মুখে আঙ্গুল দিয়ে থাকেন। এতে দাঁত উচু নিচু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শিশুর কথা বলার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা যায়। শিশুর এই অভ্যাস এখনই বদল করুন।

৪. ভালো দাঁতের জন্য কিন্তু শিশুর খাওয়া-দাওয়ার উপরে নজর রাখতে হবে। অতিরিক্ত মিষ্টি, চকোলেট জাতীয় চটচটে খাবার না খাওয়াই ভালো। কারণ মুখের লালা রস দাঁত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। অনবরত মিষ্টিজাতীয় খাবার খেয়ে থাকলে সেই সম্ভাবনা টা কমে যায়।

আরো পড়ুনঃ বাচ্চার শরীরের ক্লান্তি, দুর্বলতা দূর করবে চকোলেট দুধ!

৫. খাওয়ার সময় টিভি দেখানোর ফলে না খাইয়ে সকলে মিলে একসঙ্গে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে বাচ্চার চিবিয়ে খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হবে এবং খাবার চিবিয়ে খেলে দাঁত ও মজবুত হবে।

৬. আপনার সন্তান বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের টুথব্রাশ নিজেকে বেছে নিতে দিন। বাজারে এখন নানা ধরনের রঙিন ব্রাশ পাওয়া যায়। পছন্দের ব্রাশ পেলে নিজেই তারা সময় মতো দাঁত মাজার প্রতি উৎসাহী হয়ে উঠবে।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment