বাচ্চাদের প্রস্রাবে প্রদাহ

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮

প্রস্রাব প্রদাহ বাচ্চাদের একটা সাধারণ সমস্যা। শতকরা ১টি বালক এবং শতকরা ৮টি বালিকা তাদের ১০ বছর বযসের মধ্যে প্রস্রাবের প্রদাহজনিত রোগে ভুগে থাকে। তবে ৬ মাসের নিচের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চিত্রটা অন্যরকম। মেয়ে বাচ্চাদের চেয়েও ছেলে বাচ্চারা বেশি ভুগে থাকে।

প্রস্রাবের প্রদাহে বিভিন্ন বয়সের বাচ্চা বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে। নবজাতকের ক্ষেত্রে যেমন অনেকদিনের জন্ডিস, ওজন অনেক কমে যাওয়া, ওজন না বাড়া, প্রস্রাবের সময় কান্না কাটি করা, জ্বর ইত্যাদি প্রস্রাব প্রদাহের সন্দেহ জাগায়।

একটু বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জ্বর খিটখিটে ভাব, ওজন কমে যাওয়া, বমি, এমনকি ডায়রিয়া নিয়ে আসতে পারে। কোন কোন বাচ্চা প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালা পোড়া, তলপেটে বা কুচকিতে ব্যথা নিয়ে আসতে পারে। আসতে পারে নতুন করে বিছানা ভেজানো সমস্যা নিয়ে।

কি কারণে মূত্রনালী এবং থলিতে প্রদাহ হয় তা একটু আমাদের জানা দরকারঃ আমাদের পরিপাকতন্ত্রে এবং অন্ত্রে কিছু জীবাণু থাকে যেমন ই.কোলাই (E. Coli), প্রোটিয়াস (Proteus) এবং সিডো মনাস (Pseudomonas)। এরা সুযোগ পেলেই মূত্রনালীর ভেতর দিয়ে উপরে উঠতে থাকে। বিষাক্ত নিঃসরণ দ্বারা আক্রমণ করে মূত্রথলি এবং মূত্রনালী, কিডনি।

কিছু কিছু বাচ্চা প্রস্রাবের বেগ আটকে রাখে ফলে মূত্রথলি বড় হয়ে যায় এবং প্রদাহ হয়। বাচ্চারা বেশি চঞ্চলতার জন্য অতি অল্প সময়ের মধ্যে তাদের প্রস্রাবের কার্য সারতে চায়। ফলে প্রদাহ পথ উন্মুক্ত হয়।

অনেক সময় 'ভেসিকো-ইউরোটারিক রিফ্লাক্স' নামক জন্মগত ত্রম্নটির কারণে প্রদাহ ত্বরান্বিত হয় এবং বার বার প্রদাহ হয়। প্রস্রাবের প্রদাহ নিয়ে এত কথাই বা কেন? আসলে বার বার প্রদাহের ফলে প্রায় ১৫-২০% কিডনি ফেইলিউর হয়। সুতরাং প্রস্রাবের প্রদাহে সচেতন হতে হবে এবং যথাযথভাবে চিকিৎসা করাতে হবে।

কি করণীয়ঃ শিশুর প্রস্রাবে প্রদাহ সন্দেহ হলে দ্রুত ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।  কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন আপনার বাচ্চার প্রস্রাব প্রদাহের জন্য অত্যাবশ্যক। যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করা, শৌচকার্য সঠিকভাবে করা, প্রচুর পরিমাণে পানি, তরল জাতীয় খাদ্য খাওয়া, প্রস্রাব অনেক সময় ধরে পুরোপুরি মূত্রথলি শূন্য করা ইত্যাদি। 

সূত্র : গুগল 

Leave a Comment