ওজন নিয়ন্ত্রণে আনার ১০ উপায় জানুন

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • ডিসেম্বর ৫, ২০২০

ওজন কমানোর জন্য মানুষ কি-না করে! কিন্তু ওজন যেমন এক দিনে বাড়ে না তেমনি খুব অল্প সময়ে একে কমিয়ে ফেলার সহজ নয়। অল্প সময়ে ওজন কমানোর চেষ্টায় অস্বাস্থ্যকর ডায়েট প্লান গ্রহণ করে উল্টো স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন অনেকে। চলুন জেনে নেই কিছু বিজ্ঞানসম্মত উপায় যা দ্বারা সহজেই বাড়তি ওজন কমানো সম্ভব।

১. সকালের নাস্তা করুন

- ওজন কমানোর আশায় অনেকেই সকালের নাস্তা বাদ দেন। ভাবেন এক বেলা খাবার না খেলে হয়তো দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব। এটি একটি ভুল ধারণা। বলা হয় দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবারটি হচ্ছে সকালের নাস্তা। দীর্ঘ একরাত খালি পেটে থাকার পরে সকালের নাস্তা আপনাকে সারাদিন কর্মক্ষম রাখার শক্তি যোগায়। নাস্তা না করলে ওজন তো কমেই না বরং বিভিন্ন রোগব্যাধি দেখা দিতে পারে। তাই নিয়মিত সকালের স্বাস্থ্যকর নাস্তা করুন।

আরো পড়ুনঃ বর্ষায় আপনার চুলের যত্ন নিচ্ছেন তো?

২. খাবার ৩০ মিনিট আগে পানি পান করুন

- একটি গবেষণায় দেখা গেছে খাবার ৩০ মিনিট আগে পানি পান করলে তা ওজন দ্রুত কমতে সাহায্য করে। খাবার আগে পানি পান করলে অল্প খিদে পায়। পরিপাক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এবং শরীর ডিহাইড্রেট থাকে।

৩. খাবার তালিকায় শাকসবজি ও ফল রাখুন

- কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি হেলদি ডায়েট প্ল্যান। আপনার খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি ও ফল রাখুন। শাকসবজিতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা আপনার পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে এবং বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।

৪. এক্সারসাইজ করুন

- খাবার নিয়ন্ত্রণের পর পর ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিয়মিত এক্সারসাইজ করা। হেলদি ডায়েট যেমন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে, তেমনি এক্সারসাইজ শরীরে জমে থাকা বাড়তি মেদ কমিয়ে ফেলতে সহায়তা করে। তাই তাই তো কন্ট্রোল এর পাশাপাশি চেষ্টা করুন নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে। ওজন কমানোর জন্য এক্সারসাইজের বিকল্প নেই।

আরো পড়ুনঃ খাওয়ার পরে মিষ্টি খাওয়া কতটা ভালো, নাকি খারাপ?

৫. গ্রিন টি পান করুন

- গ্রিনটির মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভোনিয়েডস এবং ক্যাফেইন একজন মানুষের ডাইজেস্ট ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যারা নিয়মিত গ্রীন টি পান করেন অন্য মানুষের তুলনায় তাদের ১৫% দ্রুত ওজন হ্রাস ঘটে। তাই ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত গ্রীন টি পান করুন।

৬. খাবার জন্য ছোট প্লেট বা পাত্র ব্যবহার করুন

- ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য খাবার নিয়ন্ত্রণ আগে জরুরী। তাই খাবারের জন্য ছোট প্লেট তাপমাত্রা ব্যবহার করুন। প্লেট বা পাত্র ছোট হলে বারবার খাবার নিতে ইচ্ছে হয় না, ফলে নির্দিষ্ট পরিমাণে বেশি খাওয়া হয়না। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৭. ধীরেসুস্থে খাবার খান

- খুব তাড়াহুড়ো করে খাবার খেলে খাবার ঠিকমতো চিবিয়ে খাওয়া হয় না। ফলে পরিমাণে বেশি খাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ধীরেসুস্থে খাবার খান।

৮. প্যাকেটজাত খাবার কেনার আগে লেবেল দেখে নিন

- প্রতিটি প্যাকেটজাত খাবারেই তার খাদ্য উপাদান লেবেলে লেখা থাকে। তাই প্যাকেটজাত পণ্য কেনার আগে তার লেবেলটি ভালো করে পড়ে নিন। অধিক পরিমাণে ক্যালরি যুক্ত খাবার কেনা থেকে বিরত থাকুন।

আরো পড়ুনঃ আলু রোস্ট

৯. প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণের সাবধানতা অবলম্বন করুন

- প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে চর্বি ও চিনি থাকে। যা ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই ওজন কমাতে চাইলে আপনার খাবার তালিকা থেকে জাঙ্কফুড যেমন

- পিজ্জা, বার্গার, কোল্ডড্রিংস, চিপস, কেক ইত্যাদি বাদ দিন।

১০. পর্যাপ্ত ঘুমান

- পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব একজন মানুষের ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয় ও ক্যালরি যুক্ত খাবারের প্রতি আগ্রহী করে তোলে। একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন হয়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঠিকমতো ঘুমান।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment