ঘুমের মধ্যে পায়ের পেশি টান ও খিঁচুনি থেকে বাঁচতে কি করবেন

  • কবিতা আক্তার
  • অক্টোবর ১২, ২০২১

অনেক সময় আমাদের অনিয়মিত ও অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া এই ধরনের সমস্যার জন্য দায়ী হয়।

হঠাৎ প্রবল যন্ত্রণা। পা সোজা করতে পারছেন না। ভোররাতে পায়ের পেশিতে টান লেগে আমাদের অনেককেই ভুগতে হয়। এ যে কি অসহ্য যন্ত্রণা, যার হয় সেই জানে! মাসল ক্র্যাম্প হলে ব্যথা কখনো কখনো কয়েক সেকেন্ড থাকে। আবার কখনো কখনো পায়ের পেশিতে ব্যথা সারা দিন ধরে ভোগায়।

আরো পড়ুনঃ আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যের যত্ন নিচ্ছেন তো ?

শুধু যে ঘুমের মধ্যে মাসল ক্র্যাম্প হবে এমন নয়। কখনো কখনো হাত পা ছড়িয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও পেশিতে প্রবল টান পড়তে পারে। অনেক সময় আমাদের অনিয়মিত ও অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া এই ধরনের সমস্যার জন্য দায়ী হয়। এছাড়া একাধিক কারণ রয়েছে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক মাসল ক্র্যাম্প কেন হয়! এবং এর থেকে রক্ষা পেতে কি কি করা যেতে পারে-

পটাশিয়ামযুক্ত খাবার পেশিতে টান কমাতে সাহায্য করতে পারে। পটাশিয়াম পেশি ও স্নায়ুর মধ্যে সংযোগ রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়া কখনো কখনো প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ও সুফল দেয়। আসলে প্রোটিন পেশী ও টিস্যুর সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ কড়া রোদে আপনার ত্বক কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে  ?

সারাদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খান। শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করতে ডাবের পানি বা লেবুর পানি খেতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শরীরে পানির ঘাটতি জন্য মাসল ক্রাম্প হয়।

পটাশিয়াম এর সেরা উৎস হলো কলা। পটাশিয়াম কার্বন ভাঙতে ও পেশীর গঠনে সাহায্য করে। তাই কলা এ ক্ষেত্রে উপকারী খাবার হতে পারে। পটাশিয়াম কিন্তু স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

কলার পাশাপাশি মিষ্টি আলু খেতে পারলেও ভালো। রাঙা আলু পটাশিয়ামের ভালো উৎস। এছাড়া এতে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। সাধারণ আলু কুমড়ো আপনার শরীরে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের যোগান দেবে। তাছাড়া যেকোনো ধরনের আলু শরীরে পানি সরবরাহের সাহায্য করে। ফলে শরীর হাইড্রেট রাখতে মিষ্টি আলুর জুড়ি মেলা ভার।

আরো পড়ুনঃ আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী হেয়ার প্যাক !

শীতকালে শিম ও মটরশুঁটি আপনার শরীরে প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়ামের যোগান দেবে। এতে ফাইবারের পরিমাণ থাকে ভালো রকম। উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অনেক সময় মেয়েদের মাসিকের সময় মাসল ক্রাম্প এর হাত থেকে বাঁচায়।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment