‍‍`নৃশংস মানসিকতা‍‍`

  • সুমনা বাগচী
  • ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১

কথাটির মধ্যে অনেক জটিলতা আছে। কারণ নৃশংস কথার মধ্যেই একটা হিংসা ভরা অনুভূতি আছে। কঠিন প্রকাশ আছে যার মধ্যে মানবিকতা শব্দটি অনুপস্থিত। কিছুদিন আগেই একটি ঘটনা জানতে পেরে চমকে গেলাম। একটি শিশুর উপর অমানসিক অত্যাচার করা হয়েছে।আর সেই অত্যাচার কোনো সু বুদ্ধি সম্পন্ন মনুষ্য জাতির পক্ষে সম্ভব সেটা ভাবতেও অবাক লাগে। হ্যা খুব বাস্তব আর কঠিন মুহূর্তের কথা বললাম আপনাদের। খুব অস্থির ঘটনা যা চোখের সামনে ভেসে উঠলে আমরা শিউরে উঠি। শিশু ফুলের মতো পবিত্র। নিষ্পাপ। তাদের হাসি আর আচার আচরণ আমাদের মুগ্ধ করে।

সেই ছোটো ছোট শিশুদের উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার আমাদের প্রত্যেকের বুক কাঁপিয়ে তোলে। এরকম ঘটনা অনেক রকম ভাবেই হয়ে এসেছে পৃথিবীর ইতিহাসে।প্রথমে ভালোবাসায়, পরে বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে কিছু মানুষ সুযোগ নেন এই ঘৃণ্য অপরাধ মূলক কাজ।

আরো পড়ুনঃ রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর সহজ প্রাকৃতিক কিছু উপায়!

ভাবতে অবাক লাগে,একটি অবলা শিশুর উপর অত্যাচার করে তারা ঠিক কি তৃপ্তি পান? যেখানে তার নখ উপড়ে, চুল ছিঁড়ে,যৌণ নির্যাতন করা? হ্যা এই রকম ঘটনা কোনো দেশ,ইতিহাস কিংবা মানুষ মানে না,কোথাও এই অত্যাচারের শেষ নেই। মনোবিজ্ঞানের পরিভাষায় মানুষ ভিন্ন আর তার প্রকাশ ভিন্ন।এক এক টি মানুষ এক এক রকম ভাবে তাদের মনের ভাবনা,ব্যবহার প্রকাশ করে।খুব অবাক লাগলেও এটা সত্যি, একটি শিশুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার,মানুষের সাথে যোগাযোগ সব কিছুই নির্ভর করে তার ছেলে বেলার সূত্র ধরে।কোনো শিশু কিন্তু অপরাধী হয়ে জন্ম গ্রহণ করে না।

অপরাধ প্রবণতা সে পরিবেশ থেকে শেখে,জানে।একটি পরিবার ও তার ব্যবহারিক শিক্ষা শিশুর মধ্যে অপরাধ বোধ জাগ্রত করে।লক্ষ্য করে দেখবেন একটি শিশুর মধ্যে রাগ,অন্যের প্রতি ঘৃণা,অযথা মারপিট করা তার বেড়ে ওঠার মধ্যে প্রকাশ পায়। অনেকে অনেক ক্রাইম ঘটনা দেখে,সিনেমা দেখে যেখানে বাবা মা বা পরিবার বোঝে না শিশুর ক্ষেত্রে কোন টা ঠিক কোন টা ভুল। শিশু কিছু না বুঝেই অন্যের উপর সেই ব্যবহার করতে যায়।

আরো পড়ুনঃ বিরক্তিকর নাক ডাকা সমস্যার কারণ ও সহজ ঘরোয়া সমাধান!

তাছাড়া ছোটো বেলায় অনেক শিশু দেখে তার বাবা মায়ের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি,গায়ে হাত তোলা। মুখে কিছু না বলতে পারলেও তাদের মধ্যে যন্ত্রণার প্রকাশ পায়।সেই যন্ত্রণা তিলে তিলে তার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে।এছাড়া ছোটো বেলায় অনেক শিশু যৌণ নির্যাতনের শিকার হয়,যা তার মধ্যে ট্রমার সৃষ্টি করে।আর তার প্রভাব পরে তার বড়ো হবার সাথে।কখনো ঘৃণা, কখনো হিংসা কখনো রাগ তার মধ্যে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে আর ব্যবহারে বিশাল পরিবর্তন আসে।

এছাড়া বিদেশি অনেক সাইকোলজিকাল ঘটনা, রিসার্চ, দ্বারা দেখা গেছে,বিভিন্ন সিরিয়াল কিলার,খুনি,যৌণ নিগ্রহকারী,সকলের মধ্যে বাস্তব জীবন আর নিজেদের তৈরি ভাবনার মধ্যে বিস্তর ফারাক।অনেক ক্ষেত্রে বাবা মা নিজের সন্তান কে অত্যাচার করেন।

আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত সাদাস্রাব এর সমস্যা দূর করুন ঘরে থাকা ৫ জিনিসেই!


যেখানে প্রশ্ন ওঠে মা বাবাও এরকম হতে পারেন? আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য জটিল ভাবনা চিন্তায় পরিবৃত। তাও সহজাত প্রবৃত্তি এর থেকে পরিবেশ গত প্রবৃত্তি কে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আসুন সজাগ হই। সমাজ পরিবর্তন করার দায়িত্ব আমাদের। পরিবার কে সুস্থ রাখার দায়িত্ব আমাদের।

সজাগ হোন!

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment