লাউ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ৪, ২০২১

লাউ আমাদের দেশে একটি অন্যতম সুস্বাদু সবজি। লাউ সব ধরনের মাটিতে জন্মে। সাধারণত লাউ শীতকালে চাষ করা হয়ে থাকে। লাউয়ের পাতা নরম ও সবুজ বিধায় পাতা শাক হিসেবে এবং লাউ ভাজি ও তরকারি রান্না করে খাওয়া হয়। লাউয়ের চেয়ে এর শাক পুষ্টিকর বেশি। লাউ লতানো উদ্ভিদ তাই সারা বছরই চারা লাগিয়ে চাষ করা যায়।

লাউ বীজ রোপন করার আগে খেয়াল করে দেখে নিতে হবে আপনার এলাকায় কোনো লাউ, লম্বা না গোল লাউ চাহিদা বেশি? যে লাউ এর চাহিদা বেশি সেই লাউ চাষ করতে হবে। নিচে লাউ চাষ পদ্ধতি বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

আরো পড়ুনঃ ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে রোগব্যাধি বাড়ার কারণ !

বীজতলা তৈরি ও বীজ বপন: লাউ চাষের জন্য পলিব্যাগে চারা উৎপাদন করে নিলে ভালো হয়। স্বাভাবিকভাবে আলো বাতাস থাকে এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে। বেড ২০-২৫ সেমি উঁচু করতে হবে। বীজ বপনের জন্য ৮-১০ সেমি. আকারের পলিব্যাগ দরকার। অর্ধেক মাটি ও অর্ধেক গোবর মিশিয়ে বা এক-তৃতীয়াংশ কম্পোস্ট সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে। বীজ গজানোর জন্য মাটির জো ঠিক রাখতে হবে। মাটিতে জো না থাকলে পানি দিয়ে জো করে নিয়ে পলিব্যাগ ভরতে হবে।

বীজের সহজ অঙ্কুরোদগম: লাউয়ের বীজের খোসা কিছুটা শক্ত বিধায় অঙ্কুরোদগম হতে সময় লাগে। সহজে অঙ্কুরোদগম এর জন্য পরিষ্কার পানিতে ১৫-২০ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে অথবা শতকরা ১% পটাশিয়াম নাইট্রেট দ্রবণে এক রাত ভিজিয়ে তারপর পলিব্যাগে বীজ বপন করতে হবে।

মাটি: জৈব পদার্থ এঁটেল দো-আঁশ ও দো-আঁশ মাটি লাউ চাষের জন্য ভালো।

জলবায়ু: আমাদের দেশের লাউ চাষের জন্য উপযোগী মৌসুম হলো শীতকাল। বেশি গরম না আবার বেশি শীত না এমন আবহাওয়া লাউ চাষের জন্য ভালো। বীজ গজানোর পর চারার বয়স যখন ১৬-১৭ দিন হবে তখন তারা মাঠে লাগানো উত্তম।

আরো পড়ুনঃ আপনি কোমর ব্যথায় ভুগছেন ?

বীজতলায় চারার পরিচর্যা: চারা অঙ্কুরোদগম হওয়ার পর বেডে যারা সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে হবে। শীতের সময় চারা গজাতে সমস্যা হয়। এজন্য শীতের সময় বীজ গজানোর আগে প্রতিদিন রাতে বেড ঢেকে রাখতে হবে। এবং দিনের বেলাতে খোলা রাখতে হবে। বেডে চারার চাহিদা অনুসারে পানি দিতে হবে। চারার গায়ে পানি না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পানি দেওয়ার ফলে পলিব্যাগের মাটি চটা বাধলে চটা ভেঙে দিতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment