গর্ভকালীন রক্তক্ষরণ মানেই কি গর্ভপাত?

  • তাসফিয়া আমীন
  • সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১

গর্ভাবস্থায় যত ধরণের শারীরিক সমস্যা হয় তার মধ্যে রক্তক্ষরণ সবচেয়ে মারাত্মক ও জটিল একটি সমস্যা। সাধারণত ২০ সপ্তাহের আগে রক্তক্ষরণ হলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে, গর্ভকালীন রক্তপাত মানেই কিন্তু গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ নয়।

রক্তক্ষরণের কারনঃ

- জরায়ুর বাইরে অর্থাৎ পেটের ভেতরে অন্য কোনো জায়গায় যদি ভ্রূণ স্থাপিত হয় তবে তাকে এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি বলে। এই এক্টোপিক প্রেগন্যান্সিতেও প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ আসে। দু-এক মাস পর যখন ভ্রুণ বড় হতে থাকে কিন্তু পর্যাপ্ত জায়গা পায় না তখন পেটে ব্যথার সাথে রক্তক্ষরণ হয়।

আরো পড়ুনঃ অকালে চুল পাকা রোধের ৫ ঘরোয়া উপায়

- প্রেগন্যান্সির প্রথম তিন মাসে রক্তক্ষরণের আরেকটা কারণ হলো মোলার প্রেগন্যান্সি। যেখানে জরায়ুতে ভ্রূণের পরিবর্তে টিউমার জাতীয় সমস্যা হয় এবং এ অবস্থায় রক্তক্ষরণের সঙ্গে সঙ্গে আঙুরের থোকার মতো বের হয়।

- প্লাসেন্টা প্রিভিয়া রক্তক্ষরণের আরেকটি কারণ। প্লাসেন্টা প্রিভিয়া হলো গর্ভফুল জরায়ুর মুখের কাছাকাছি থাকা।

করণীয়ঃ

- গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে খুবই অল্প রক্ত গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্রাম ও চিকিৎসা নিলে ভ্রূণের অনেক সময় কোনো ক্ষতি হয় না। এসময় ভারী কাজ ও ভ্রমণ বন্ধ রাখতে হবে।

- রক্তপাত বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিন। স্ট্রিক্ট বেড রেস্ট যাকে বলে।

- রক্তপাত হওয়ার সময় স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করুন এতে কতটুকু রক্ত বের হচ্ছে সেটা বোঝা সহজ হবে।

- এসময় সহবাস একদম এড়িয়ে চলুন।

আরো পড়ুনঃ চুল বাড়বে ঘরোয়া যত্নে

- যদি গর্ভাবস্থা ৩৬ সপ্তাহের কম হয় এবং রক্তপাত খুব বেশি না হয় তাহলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। কিন্তু যদি গর্ভাবস্থা ৩৬ সপ্তাহের বেশি হয় তাহলে সি-সেকশনের করা যেতে পারে।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment