কয়েকটি সহজ উপায়ে নিজেই নিজের হেয়ার কালার করুন 

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • নভেম্বর ২৯, ২০১৭

অনেকের কাছে তাদের চুল এবং চুলের অ্যাপিয়ারেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনেক সময় চুল সুন্দর না দেখালে তখন অনেক সময় নিয়ে মেকআপ করলেও, বা পছন্দের রঙের  জামাটি পড়লেও কেমন যেন অসম্পূর্ণ দেখায়। অনেকের পার্লারে যাওয়ার মতো একদম সময় হয় না। তাই বলে কি তারা চুল কালার করবে না ? অবশ্যই তারাও চুল কালার করবে। 

হেয়ার কালারিং এখন অনেকের কাছেই শখ এবং সময়ের প্রয়োজন দুটোই। চুলের রঙটা নতুন করে করলে চুল তো সুন্দর দেখায়ই, সেই সাথে আজকাল অনেকেরই অল্পবয়সে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা আছে যেটা অনেকেরই ভালো নাও লাগতে পারে, তাই হেয়ার কালারিং করতে হয়।পার্লারগুলোতে সুন্দর করে হেয়ার কালার করা যায়। কিন্তু সেটা সময়সাপেক্ষ এবং অনেকের কাছেই ব্যয়বহুল। 

জেনে নিন ঘরে বসেই কিভাবে নিজের চুলে নিজে কালার করবেন।

উপকরণ : 

(১) হেয়ার কালার (আপনার পছন্দ মতো ব্র্যান্ডের এবং চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী )

(২) আয়না

(৩) মোটা এবং চিকন দাঁতের চিরুনি

(৪) অনেকগুলো হেয়ারক্লিপ

(৫) পুরাতন টি শার্ট এবং তোয়ালে

(৬) একটি নন মেটালিক বাটি/প্লাস্টিকের অথবা কাঁচের বাটি

(৭) চুলে রঙ করার উপযোগী ব্রাশ এবং একটি পুরোনো পরিষ্কার টুথব্রাশ

(৮) ওয়েট ওয়াইপস / ভেজা টিস্যু

(৯) ভ্যাসেলিন

(১০) শ্যাম্পু

(১১) কন্ডিশনার

স্টেপ ১ : পূর্ব প্রস্তুতি

আগের রাতে চুল শ্যাম্পু করে পরিষ্কার করে নিবেন। কন্ডিশনার দেওয়ার দরকার নেই। কারণ পরিষ্কার চুল ছাড়া চুলে ভালোভাবে কালার বসবে না। প্যাকেটের ভিতর ইন্সট্রাকশন মেন্যুসহ চারটি জিনিস আছে – ডেভেলপার, কালারেন্ট, কন্ডিশনার এবং এক জোড়া হ্যান্ডগ্লাভস। হেয়ারলাইন, কানের পাশে ভ্যাসেলিন দিয়ে নিবেন। কোটিং এর জন্য যেন হেয়ার কালার থেকে আপনার স্কিন-টা প্রোটেক্টেড থাকে। পুরোনো একটা টিশার্ট পড়ে নিবেন  আগেই যাতে রঙ লেগে গেলেও অসুবিধে নেই। সেই সাথে তার উপর ভালোভাবে একটা পুরাতন তোয়ালেও জড়িয়ে নিয়ে গলার কাছে ছোট একটা  পাঞ্চক্লিপ দিয়ে আটকে  দিন এবং হাতে  হ্যান্ডগ্লাভগুলো পরে নিন ।

স্টেপ ২ : হেয়ার কালার প্রিপেয়ারিং

এবার একটা প্লাস্টিকের বাটিতে প্যাকেটের ভেতরে থাকা ডেভেলপার এবং কালারেন্ট এর টিউব খুলে ভালোভাবে হেয়ার কালারিং ব্রাশের সাহায্যে মিক্স করে নিন ।এবার মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুলের জট ছাড়িয়ে তারপর চিকন দাঁতের  চিরুনি দিয়ে চুলগুলোকে কয়েক ভাগে ভাগ করে ছোট ছোট হেয়ারক্লিপ দিয়ে আটকে নিন ।

স্টেপ ৩ : হেয়ার কালার অ্যাপ্লায়িং

 ছোট ছোট সেকশনে চুল নিয়ে হেয়ার কালারিং ব্রাশে হেয়ার কালার লাগিয়ে আস্তে আস্তে চুলের গোড়ার কাছ থেকে আগা পর্যন্ত কালার করতে শুরু করেন ।মাথার স্কাল্পে যেন হেয়ার কালার না লাগে সেদিকে সতর্ক  থাকতে  হবে। এভাবে ছোট ছোট সেকশনে অল্প অল্প করে চুল নিয়ে সব চুল আস্তে আস্তে কালার করে  নিন । এক আধটু কালার তো এদিক সেদিক স্কিনে লাগবেই , সেগুলো ওয়েট ওয়াপস দিয়ে মুছে নিন । কালার করা শেষ হলে ঘড়ি ধরে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।

স্টেপ ৪ : ওয়াশিং অ্যান্ড কন্ডিশনিং

৩০ মিনিট শেষ হবার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে সুন্দর করে চুল ধুয়ে নিন । এবার পালা কন্ডিশনার লাগানোর। চুলের  গোড়া বাদে  পুরো মাথার  সব চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন এবং ৭-৮  মিনিট  পর  ঠাণ্ডা  পানি দিয়ে  ভালোভাবে  চুল  ধুয়ে  নিন ।  তারপর  পুরানো  টিশার্ট  দিয়ে  চেপে  চেপে  চুল  মুছে  ফ্যানের  বাতাসে  চুল  শুকিয়ে নিন । 

তথ্য এবং ছবি : গুগল 

Leave a Comment