চুলে লাগানো মেহেদী ধোয়ার পদ্ধতি স্টেপ বাই স্টেপ!

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • নভেম্বর ২৪, ২০২০

পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করাটা শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে জরুরী, তেমনই চুলের পুষ্টির জন্য চুলের চাই বিশেষ খাদ্য। আপনারা অনেকেই জানেন হেনা করার ফলে চুলে কি কি উপকার হয় কিন্তু জানেন কি চুল থেকে হেনা ধুয়ে নেওয়া যাবে জরুরি। মেহেদী ধুয়ে ফেলা অনেকের কাছে সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার। চুল থেকে মেয়েদের ধোয়ার চেষ্টা করার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা ঘাড় নিচু করে ঘাড়ে ব্যথা হয় সে সাথে পানিও অনেক খরচ হয় কিন্তু ঠিক ভাবে চুল থেকে মেহেদী ধুয়ে ওঠা হয়না।

আরো পড়ুনঃ চিংড়ি মাছের মালাইকারি 

স্টেপ -১: মেহেদি করার পর নয় বরং মেহেদি করার আগে শ্যাম্পু এপ্লাই করুন। ‌ মেহেদির কাজ হলো আপনার চুলের মধ্যে থাকা অতিরিক্ত তেল ধুয়ে সাফ করে দেওয়া। যার ফলে আপনার চুলটা ড্রাই দেখাতে পারে। আর মেহেদি অতিরিক্ত মাত্রায় প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় তা এপ্লাই করার পর আপনার চুল আরও ড্রাই হয়ে যেতে পারে। এর জন্য যেটা করবেন অবশ্যই মেহেদী করার আগের দিন শ্যাম্পু করে নিন। ‌ এরপর যখনই মেহেদী এপ্লাই করবেন আপনি দেখতে পাবেন যে মেহেদির রং খুবই সুন্দর এসেছে। আর আপনার যদি পাকা চুলের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ফলাফলটা হাতেনাতে পাবেন। দেখতে পাবেন যে আপনার পাকা চুল গুলি ও সুন্দর বাদামী রং হয়ে গিয়েছে। এতে করে মেহেদির রং যেমন সুন্দর ভাবে শুষে নেয়, তেমনি ধোয়ার কাজটাও সুবিধাজনক হয়।

স্টেপ-২: মেহেদি করার পর রং ভালো পেতে মেহেদী মাথায় কয়েক ঘণ্টা রেখে দেওয়া হয়। তার জন্য আপনাকে প্রথমে যেটা করতে হবে তা হলো শাওয়ার বা কলের নিচে সরাসরি চুলটা ধুয়ে নিন। ‌ হাতের সাহায্যে নাড়িয়ে চুলের মধ্যে থেকে মেহেদী তুলে ফেলার চেষ্টা করুন। এ সময় হাতের সাহায্যে আলতো করে স্ক্যাল্পে মেসেজ করতে থাকুন। স্কাইপ এর মধ্যে আটকে থাকা মেহেদির পার্টিকল গুলিসহ যায় বেরিয়ে আসতে পারে। এরপর চুলের লেন্থে হাতের সাহায্যে ঘষতে থাকুন। যাতে সেখান থেকে পার্টিকেল গুলি সহজেই বেরিয়ে যেতে পারে।

স্টেপ-৩: এর পরে যেটা করবেন তাহলে আপনার পছন্দসই যে কোন একটা কন্ডিশনার নিন এবং তা অবশ্যই যেন প্যারাফিন এবং সালফেট মুক্ত হয় সেটা খেয়াল রাখবেন। এবার হাতের তালুতে কন্ডিশনার নিয়ে তা সারা চুলে ভালো করে এপ্লাই করেনিন। দুই হাতের সাহায্যে এমন ভাবে সারা চুলে লাগাবেন যাতে সমস্ত চুলে কন্ডিশনার লেগে যায়। সাধারণত চুলে কন্ডিশনার কিছুক্ষণ রেখে দেওয়ার কথা বলা হয় কিন্তু এক্ষেত্রে ভালো করে এপ্লাই করে নেওয়ার পর আর অপেক্ষার দরকার নেই, তৎক্ষণাৎ ধুয়ে নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ এক বছরের ছোট বাচ্চাদের বাহিরের দুধ খাওয়াচ্ছেন?

স্টেপ-৪: সেদিনের মতো হেয়ার ওয়াশ শেষ হওয়ার পর ওই দিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে চুলে অয়েল মাসাজ করুন। খুব ভালো হয় যদি হট হয়ে মাসাজ করা যায়।‌ এতে করে আপনার স্ক্যাল্প যদি অতিরিক্ত মাত্রায় হয়ে থাকে তাহলে তেল আপনার চুলের পুষ্টি ফিরিয়ে দেবে।

স্টেপ-৫: আর অবশেষে যেটা করবেন তা হলো শ্যাম্পু।অর্থাৎ আগের দিন রাতে চুলে তেল ম্যাসেজ করে শুয়ে পড়ে, পরের দিন ছিল অবশ্যই শ্যাম্পু করুন। দেখবেন আপনার চুল মাখনের মতো সফট হয়ে গেছে আর চুলের মেহেন্দি রং একেবারে গাঢ় হয়ে বসেছে।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment