মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং

  • ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
  • এপ্রিল ১৮, ২০২১

ভারতের অন্যতম একটি পর্যটন স্থান শিলং। এটি মূলত মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী। শিলং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে এবং ভুটান-ভারত সীমান্তের প্রায় ১০০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত। শিলং স্থানটি খাসি পাহাড়ের প্রায় ১৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। শিলং এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এখানে রয়েছে পাইন অরণ্য, জলপ্রপাত এবং পার্বত্য জলধারার সমারোহ। বলা হয় কোনো এক সময় এটি "প্রাচ্যের স্কটল্যান্ড" নামে পরিচিত ছিল।

কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৮৯৭ সালে এক ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে শহরটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং এরপর এটিকে পুনরায় গড়ে তোলা হয়। ভারতের স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশ পরিবারদের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় পাহাড়ি রিজর্ট ছিল। শিলংয়ের এলাকায় এখনও প্রচুর ব্রিটিশ ধাঁচে নির্মিত কান্ট্রিহাউজ দেখতে পাওয়া যায়। এগুলো দেখার জন্যও আশেপাশের মানুষরা ঘুরতে আসে। শিলং-এ আশেপাশের এলাকায় উৎপাদিত কমলা, তুলা, আলু, ইত্যাদি কেনাবেচা হয়। এখানে মাইকা, জিপসাম এবং কয়লার মজুদ থাকার সম্ভাবনা আছে, তবে এগুলি এখনও তেমন করে উত্তোলিত হয়নি।

আরো পড়ুনঃ বেলি ফ্যাট কমানোর ৩টি কার্যকরী টিপস

শিলংয়ে গেলে পুরাতন অনেক হাউজের দেখা মিলে, যেগুলোর দর্শনে মানুষ ভিড় করে আবার এগুলোর সুন্দর সুন্দর ইতিহাস জানতে মানুষ আগ্রহ নিয়ে শিলং ভ্রমণে ছুটে আসে। ১৮৭৪ সালে প্রশাসনের আসন হিসাবে শিলংকে নিয়ে একটি পৃথক চিফ কমিশনারশিপ গঠিত হয়। নতুন প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত সিলেট, এখন বাংলাদেশের একটি অঙ্গ। ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত মেঘালয়ের স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার পরে শিলং মিশ্রিত আসামের রাজধানী ছিল। ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে মেঘালয়কে একটি পূর্ণাঙ্গ রাজ্য করা হয়। এবং এরপরেই মূলত শিলং মেঘালয়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত হয়।

শিলংয়ের অন্য স্থানের সাথে কোনো রেল সংযোগ নেই এবং সঠিক বায়ু সংযোগ নেই। শিলং বাইপাস একটি দুটি লেনের রাস্তা যা উমিয়াম, জোরাবাদ এর সাথে সংযোগকারী ৪৭.০৬ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত যা পরে উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্য মিজোরাম এবং ত্রিপুরার দিকে নিয়ে যায়। নগরীর কেন্দ্র থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে উমরোই বিমানবন্দরটিতে কেবল সীমিত ফ্লাইট রয়েছে শীলংয়ের কলকাতায় জুলাই ২০১৯ থেকে নিয়মিত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ আপনাদের সাধারণ অভ্যাসগুলোই আপনার মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ায়

শিলং গল্ফ কোর্স দেশের অন্যতম প্রাচীন গল্ফ কোর্স এবং পাইন এবং রোডোডেনড্রন গাছ দ্বারা ঘিরে রয়েছে। শিলং দুটি লীগ ফুটবল ক্লাব তৈরি করেছে যা আই-লিগে অংশ নেয়, রয়্যাল ওয়াহিংদোহ এফসি এবং শিলং লাজং এফসি। দেশের বাহিরে শিলংয়ের এখনো তেমনভাবে জনপ্রিয়তা না ছড়ালেও দেশের মধ্যে থেকে অনেক মানুষই শিলংয়ে ঘুরতে আসে, এবং দেশের মানুষ শিলংয়ের ঐতিহ্য জানার জন্য, এবং শিলংয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ছুটে যায়।

তথ্যঃ গুগল

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment