আপনার শিশু মাম্পস সমস্যায় ভুগছে!

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ২৮, ২০১৮

একটি মারাত্মক ভাইরাসঘটিত সংক্রামক ব্যাধি। প্যারোটিড গ্রন্থিসহ অন্যান্য লালা গ্রন্থির প্রদাহ এ রোগের প্রধান লক্ষণ। শিশুরা মূলত এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। রোগটির জীবাণুর সুপ্তাবস্থা ১৪-২১ দিন। আক্রান্ত রোগীতে রোগের লক্ষণ একদিন থেকে তিনদিন পর্যন্ত দেখা যায়।

মাম্পস ভাইরাস এক ধরনের নেগেটিভ আরএনএ প্যারামিক্সো ভাইরাস। এই ভাইরাস প্রধানত রক্তের লোহিত কণিকা ধ্বংসের জন্য দায়ী। স্পর্শকাতর প্যারোটিড গ্রন্থির স্ফীতি এ রোগের সাধারণ লক্ষণ। তবে ইডিমা (edema) থাকতে পারে। জ্বর ও ব্যথা অনুভূত হতে পারে, শিশুর ক্ষেত্রে অবশ্য এটি তেমনভাবে প্রকাশ পায় না।

উপসর্গ :

- প্রথমে জ্বর, মাথাব্যথা, গলার ব্যথা এবং কানের নিচে ব্যথা নিয়ে রোগটির শুরু। পরে একদিকের প্যারোটিড গ্রন্থি ফুলে ওঠে ও ব্যথা হয়। পরে অপর গ্রন্থি ও বেদনাযুক্ত হয়ে ফুলে ওঠে। গ্রন্থির নিঃসরণ মুখের যেখানে এসে লালার সঙ্গে মেলে, সে স্থানও লাল হয়ে ফুলে যায়। পুঁজ হয় না।

- এ সময় রোগীকে বেশি দুর্বল মনে হয়, রোগী অস্বস্তি অনুভব করে, ভালো করে মুখ খুলতে পারে না। মুখে দুর্গন্ধ হয়, চোয়াল শক্ত হয়ে যায়। ঢোক গিলতে ও খেতে ভীষণ কষ্ট হয়। এমনকি ঘাড়, কান, গলাও আক্রান্ত হয়ে পড়ে। ১০২ থেকে ১০৩ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর কয়েক দিন থাকে।

মাম্পস হলে কী করবেন?

- এ রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। তাই উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। জ্বর ও ব্যথার জন্য ওষুধ দিতে হবে এবং ইনফেকশন হলে সে জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া প্রয়োজন।

- জ্বর ও ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ বয়স মুখে অথবা এপএ সাপোজিটরি বয়স অনুসারে দেওয়া যেতে পারে। পাঁচ বছরের নিচের শিশুকে ১২৫ মিলিগ্রাম এবং পাঁচ বছরের বড় হলে ২৫০ মিলিগ্রাম মাত্রার দেওয়া যেতে পারে। সাপোজিটরি খুব বেশি জ্বর ও ব্যথা না হলে দিতে নিই।

- রোগীকে আলাদা ঘরে কমপক্ষে দুই থেকে তিন সপ্তাহ রাখা উচিত।

- রোগীর ব্যবহৃত কাপড়, জিনিসপত্র গরম পানিতে সেদ্ধ করে ধোয়া প্রয়োজন।

- রোগীকে প্রচুর তরল খাবার দিতে হবে।

আর/এস 

 

Leave a Comment