শিশুর ব্যক্তিত্বের সঠিক বিকাশে বাবা মায়ের করনীয়

  • কবিতা আক্তার
  • মার্চ ১৩, ২০২২

বেড়ে ওঠার সময়টা শিশুর ব্যক্তিত্বের সঠিক বিকাশের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানকে একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে আপনাকে।

একজন ভালো শ্রোতা হতে হবে: শিশুরা প্রচুর কথা বলে। তাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বাবা-মায়ের সঙ্গে শেয়ার করতে ভালোবাসে তারা। শিশুদের বেশিরভাগ কথা বড়দের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না হলেও তাদের কাছে কিন্তু জরুরি।

আরো পড়ুনঃ অকালে টাক পড়া রোধ করে কালোজিরা

এটা মনে রেখে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে শিশুর কথা শুনুন। বিরক্ত হবেন না। এতে শিশু কথা বলার সময় নিরাপদ বোধ করবে। এতে ভবিষ্যতে সে আত্মবিশ্বাসী হবে।

অন্য শিশুদের সঙ্গে তুলনা করবেন না: প্রতিটি শিশু আলাদা। কেউ গান ভালো পারে, কেউবা ছবি আঁকায় তুখোড়। শিশু যেটা ভালো পারে না সেটা নিয়ে অন্য শিশুদের সঙ্গে তুলনা করা বা তিরস্কার করা খুবই অনুচিত।

বরং যেটা সে ভালো, সেটা নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করুন। যেটাতে ভালো না, সেটাতো আরো ভালো করার জন্য উৎসাহ দিন। এতে শিশু আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী হবে।

আরো পড়ুনঃ গল্প : সারপ্রাইজ 

স্ক্রিন টাইম কমিয়ে দিন: শিশু যেন সারাক্ষণ মোবাইল বা গেজেট হাতে পড়ে না থাকে। এতে শিশুর বুদ্ধিবৃত্তির সঠিক বিকাশ ব্যাহত হয় যা ভবিষ্যতে ব্যক্তিত্বের উপর চরমভাবে আঘাত হানতে পারে। শিশুকে পর্যাপ্ত সময় দিন। গল্প করুন তার সঙ্গে। গল্পের বই পড়ে শোনান।

নিজের কাজ নিজে করার জন্য উৎসাহিত করুন: শিশুর সব কাজ নিজে করে দেবেন না। বরং খাওয়া, গোসল করা, ঘর গোছানোর মতো কাজ নিজে করতে উৎসাহিত করুন। এতে স্বাধীন ব্যক্তিত্বের অধিকারী হবে সে।

আরো পড়ুনঃ ভিন্ন স্বাদের নলেন গুড়ের কেক

অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে দিন: করোনা মহামারীর কারণে এই প্রজন্মের শিশুরা গৃহবন্দি ছিল একটা বড় সময়ের জন্য। এতে তাদের মানসিক বিকাশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্কুল খুলে যাওয়ার পর তার শিশুকে আরেকটু বেশি খেলার সুযোগ দিন অন্য শিশুর সঙ্গে। এতে অন্যের সঙ্গে কোন কিছু ভাগ করে নেওয়া, কেয়ার করা ইত্যাদি মানবিক গুণাবলী শিখবে শিশু।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment