আপনার শিশুর ঘামের সমস্যা নিয়ে জেনে নিন খুঁটিনাটি 

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • মার্চ ৭, ২০১৮

শিশুরা গরমে, কিছুটা হাঁসফাঁস করলে কিংবা সমস্যা অনুভব করলে ঘামবে, সেটাই স্বাভাবিক। মা আবার হালকা করে গা মুছিয়ে দিলে তা আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে চিন্তার কারণ হিসেবে মায়ের কপালে ভাঁজ পরার মতো অবস্থাও অনেকসময় এই ঘামের কারণেই হয়। শিশুর ঘুমের সময়, এই শীতের সময়ও অনেক্ষেত্রেই শিশুকে অনবরত ঘামতে দেখা যায় যা মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। জেনে নিন এই সমস্যার বিস্তারিত কিছু কথা - 

কেনো শিশুর অতিরিক্ত ঘাম হয়? সচরাচর যেসব সমস্যার কারনে শিশুর ঘাম হতে দেখা যায় সেগুল হলোঃ

১। শিশুর আশেপাশের পরিবেশের আদ্রতা বেশি থাকলে তা ঘামের কারণ হতে পারে। তা হতে পারে পরিবেশগত কারণে কিংবা ঘরের আসবাবপত্র, দেওয়াল এসবের কারণে।

২। যেসব শিশুরা হৃদরোগে ভুগে থাকে কিংবা এই ধরণের সমস্যা থাকে তাদেরও ঘাম বেশি হতে পারে।

৩। অনেকে প্রিম্যাচিউর শিশুর মধ্যে ঘাম বেশি হবার প্রবণতা দেখা যায় যদি তাঁদের শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে সমস্যা। তখন অক্সিজেন নিতে শিশুকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয় যার ফলে শিশু ঘামে। এই সমস্যা পরবর্তী সময়েও দেখা দিতে পারে।

৪। যদি আপনার সন্তান ঠান্ডা, ভালো পরিবেশে থেকেও ঘামতে থাকে তবে হয়তো সে “হাইপারহাইড্রোসিস” নামক জটিলতায় ভুগছে।

৫। “এন্ডোক্রাইন ডিসফাংশন” নামক এক ধরণের জটিলতার ফলে শিশুর ঘাম হতে দেখা যায়।

৬। এছাড়াও শিশুর জ্বর, ঠান্ডা কিংবা কোন ধরণের ইনফেকশনের কারণেও শিশুড়ও ঘাম হতে পারে।

সমস্যার পরিত্রানঃ আগে জানানো সমস্যাগলো কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম হবে। তবুও, কিছু কিছু ব্যাপারে বাবা, মা অবশ্যই সতর্ক থাকবেন। সেগুলো হলোঃ

১। সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হলো ঘরের তাপমাত্রা সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা এবং শিশুকে সেই মোতাবেক কাপড় বা কম্বল দেওয়া। এছাড়া ঘরে আলো, বাতাসের পরিমাণটাও খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখবেন, যদি আপনার ঠান্ডা কিংবা গরম লাগে, তবে হয়তো আপনার সন্তানেরও তেমনি অনুভূত হচ্ছে। তাই, অযথা তাকে বেশি কাপড়, বেশি কম্বল জড়িয়ে কষ্ট দেবেন না।

২। শিশুকে হাইড্রেট রাখতে চেষ্টা করুন সবসময়। তাকে ঘুম পাড়ানোর আগে কিংবা কিছুক্ষন পরপর ঠান্ডা রাখতে চেষ্টা করুন।

৩। শিশুর পোশাক ঘামের ব্যাপারে খুব বড় ভূমিকা রাখে। তাই বুঝতে চেষ্টা করুন আপনার সন্তান কোন কাপড়টিতে বেশি আরামবোধ করছে।

৪। সম্ভব হলে রাতেও একবার শিশুর কাপড় বদলে দিন। মাথা মুছিয়ে দিন।

মনে রাখবেন :

১। সবকিছুর পরেও শিশু যদি সমস্যায় ভোগে তবে জলদি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২। যদি শিশুর ঘামানোর পাশাপাশি নাক ডাকা, মাথা দ্রুত দোলানো এমন ধরণের অস্বস্তিকর অবস্থা দেখা দেয় তবে বুঝতে হবে আপনার সন্তান মোলিক কোন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। এক্ষেতে পিডিয়াট্রশিয়ানের সাথে যোগাযোগ করুন এবং সন্তানের স্বাস্থ্যের দিকে আরো নজর দিন। 

তথ্য এবং ছবি : গুগল  

Leave a Comment