খাবারে যখন কমবে পেটের অবাঞ্ছিত মেদ !

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • নভেম্বর ১৯, ২০১৭

পেটের চারপাশে জমে যাওয়া মেদে আজকাল সবাই কম - বেশি ভুগছে। অনেক চেষ্টা করেও এই মেদ কমানো যাচ্ছে না। মেদ কমানোর জন্য অনেকেই যোগ ব্যায়াম, সকাল বিকাল হাঁটা, পরিমিত খাবার ও আর কত কি করেও মেদ কমাতে পারছেন না। অনেক চেষ্টা করেও যারা পেটের মেদ কমানোর যুদ্ধে হেরে গেছেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেল। 

আজ এমন কিছু খাবারের নাম বলবো যা আপনাকে পেট এবং কোমরের মেদ থেকে মুক্তি দিবে এবং সাথে সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বকও উপহার দিবে। 

কাঠবাদাম:

কাঠবাদামের স্বাস্থ্য উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না । এতে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন ও কোলেস্টেরল। এটি অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। তাই ছোট ছোট ক্ষুধা নিবারণের জন্য বেছে নিন কাঠবাদাম। হাতের কাছে কাঠবাদাম না পেলে আপনি একমুঠো চিনাবাদাম খেতে পারেন।

আখরোট:

আখরোটে আছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন আখরোট খেলে যেমন বাড়তি ওজন কমে ঠিক তেমনি ওজন বাড়তেও দেয় না। এটি দেহে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

আমলকী:

আমলকী ভিটামিন সি এর একটি অন্যতম উৎস। শরীরের বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলতে ও রোগব্যাধি থেকে শরীরকে দূরে রাখতে প্রতিদিন ২টি আমলকী যথেষ্ট।

গ্রিন টি:

গ্রিন টি তে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু অনেকের কাছ থেকেই জানা যায় যে তারা ১/২ মাস গ্রিন টি খেয়েও কোন ওজন কমাতে পারেনি। তাই আপনাকে জানতে হবে গ্রিন টি পান করার কৌশল। দিনে অন্তত তিন কাপ গ্রিন টি ৭০ ক্যালরি কমিয়ে ফেলতে পারে। তাই এক বা দু’মাস নয় দীর্ঘদিন পান করে যেতে হবে গ্রিন টি। সাথে যোগ ব্যায়াম, জগিং বা হাঁটতে পারেন।

টক দই:

টক দইয়ের রয়েছে নানা গুন। এটি সুস্বাস্থ্যর পাশাপাশি রূপচর্চায় অনেক কার্যকরী।  মেদ কমাতে এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। হজমের যেকোনো সমস্যা এটি দূর করে। প্রতিদিন কমপক্ষে এক বাটি টক দই খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ভাল ফলাফল পেতে সকালে খেতে পারেন টক দই।

ওটমিলঃ

ওটমিলে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই এটি অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। ওটমিল খাওয়ার অনেকক্ষণ পর পর্যন্ত কিছু খেতে ইচ্ছে করেনা। তাই সকালে ও রাতের খাবার হিসেবে যোগ করুন ওটমিলকে।

 ডিম:

ডিমে আছে সব রকম ভিটামিন ও প্রোটিন। এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। সকালে নাস্তায় ডিম খেলে শরীরের ক্যালরি পোড়ার হার বাড়ে। এটি ওজন কমাবে সাথে শরীরে শক্তি যোগাবে।

পেয়ারা:

হাই-ফাইবার ও ভিটামিন সি যুক্ত পেয়ারা ওজন কমাতে বেশ পটু। তাই পেয়ারাকে আপনার ওয়েট লসের জন্য সঙ্গী করে নিন।

আপেল:

পেয়ারার মত আপেলেও আছে ফাইবার ও ভিটামিন সি। ফাইবার শরীরে মেদ জমতে দেয় না ও বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলে।

আপেল সাইডার ভিনেগার:

যারা অনেক চেষ্টা করেও খাওয়া নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না, তাদের জন্য আপেল সাইডার ভিনেগার খুব সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। আপেল সাইডার ভিনেগার কিন্তু ওজন কমায় না কিন্তু খাওয়ার পূর্বে এক চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার আধা গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেলে খাওয়ার রুচি অনেকটা কমে যায়। এতে করে আপনি কম খাবার খেতে পারবেন ও ওজন নিয়ন্ত্রণ হবে।

কমলা/মালটা:

কমলা বা মালটা হচ্ছে ভিটামিন সি এর উৎস । প্রতিদিন কমলা বা মালটা খাওয়াতে ওজন কমার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

তরমুজ:

তরমুজে সম্পূর্ণই মিনারেল। তাই যত ইচ্ছে খাওয়া যায়। ছোট ছোট ক্ষুধা নিবারণে টোষ্ট, কেক বা অন্য কিছু না খেয়ে একবাটি তরমুজ খেতে পারেন। এতে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকবে, সাথে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরিও যাবে না।

তথ্য এবং ছবি : গুগল 

Leave a Comment