জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধক টিকা নিয়েছেন কি?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • মার্চ ২০, ২০১৯

এইচপিভি সংক্রমণ নিয়ে আপনি কতটা জানেন? এইচপিভি বা হিউম্যান পেপিলোমা নামক এ ভাইরাসটি যৌন বাহিত রোগের একটি অন্যতম প্রধান কারণ। বিভিন্ন হিসেবে দেখা গেছে, শতকরা ৮০ জন নারী তাদের জীবনের যেকোনো একটি সময়ে এ ভাইরাসটি দিয়ে সংক্রমিত হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই ভাইরাস জনিত সংক্রমণ নিজে থেকেই ভাল হয়ে যায়। অল্প কিছু ক্ষেত্রে এ ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত কোষগুলো অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে ক্যান্সারে পরিনত হয়। কিন্তু জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধী টিকা এই হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জরায়ুকে রক্ষা করে।

এইচপিভি সংক্রমণ: প্রায় ৭০ ধরনের হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এইচপিভি-১৬ ও এইচপিভি-১৮ এই দুটি ধরনকে প্রায় দুই-তৃত্বীয়াংশ জরায়ুর ক্যান্সারের জন্য দায়ী করা হয়। এদের প্রতিরোধে দুই ধরনের টিকা পাওয়া যায়। গার্ডাসিল ও সিভারিক্স নামের দুইটি টিকা জরায়ু ক্যান্সারের জন্য চিকিৎসকরা দিয়ে থাকেন। এই দুটি টিকাই সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রায় ১০০ ভাগ কার্যকরী এবং ভবিষ্যতে জরায়ু ক্যান্সারের সম্ভাবনা ৭০ ভাগ পর্যন্ত কমাতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই টিকা এইচপিভি জনিত জেনিটাল এবং অ্যানাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

কারা টিকা নিতে পারবে? ১১ থেকে ১৪ বছরের মেয়েরা এই টিকা নিতে পারবে। তবে ২৬ বছর পর্যন্ত টিকাটি নেয়া যায়। এরপর এ টিকাটি নিতে চাইলে এইচপিভি-ডিএনএ টেস্ট করে দেখে নেয়া যেতে পারে ইতিপূর্বেই সে এ ইচপিভি সংক্রমণ দ্বারা সংক্রমিত কিনা।

টিকা নেয়ার নিয়ম: তিনটি ডোজ-এ এই টিকা দেয়া হয়। প্রথম ডোজ-টি দেয়ার এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং ছয় মাস পর পরবর্তী ডোজ-টি দিতে হয়। এই টিকার কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এটি দেয়ার পর বড় কোনো শারীরিক সমস্যা হয় না, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইনজেকশন-এর স্থানে ব্যথা ও জ্বালা, ঝিমুনি ভাব, মাথা ব্যথা বা এলার্জি-এর সমস্যা হতে পারে। মনে রাখতে হবে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধক এই টিকা অন্যান্য কারণ জনিত জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম না। তাই এ টিকা নেয়ার পরও জরায়ু ক্যান্সার সনাক্তকরণের জন্য স্ক্রিনিং টেস্ট নিয়মিতভাবে করে যেতে হবে।

টি/আ

Leave a Comment