
এলার্জি থেকে বাঁচতে জানুন কিছু উপায়
- কামরুন নাহার স্মৃতি
- জুলাই ৪, ২০১৯
এলার্জি আমাদের স্বাভাবিক জীবনকে অস্বাভাবিক করে তোলে। অকারণ হাঁচি-কাশি, ত্বক চাকা চাকা হয়ে ফুলে যাওয়া, নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরা আমাদের কষ্টের কারণ হয়ে ওঠে। তাই জেনে খুব সহজে এলার্জি থেকে দূরে থাকার উপায়
- নিয়মমাফিক প্রতিদিন ঘর পরিষ্কার করুন। বইয়ের সেলফে জমে থাকা ময়লা এলার্জি সৃষ্টি করে। দু'একদিন পরপর বইখাতা নাড়াচাড়া করলে ধুলোময়লা থেকে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
- বিছানার চাদর, বালিশের কভার, মশারী সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এসবে কিছুতেই ধুলো ময়লা জমতে দেওয়া যাবে না। তাছাড়া ঘরের চারপাশের মেঝে পানি এবং ক্লিনার দিয়ে খুব ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। প্রতিদিনের সূর্যের রোদে লেপ, কম্বল, বালিশ শুকিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এতে করে এলার্জিজনিত সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
- জানালা, দরজা পরিষ্কার রাখতে হবে৷ এক সপ্তাহ পর পর ভেজা কাপড়ে পরিষ্কার করা যেতে পারে। সেই সাথে দরজা জানালার পর্দা মাঝেমধ্যে খুব ভালো করে ধূয়ে নিতে হবে।
- গোছলখানায় যাতে প্রচুর আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গোছলখানার জানালা খোলা রাখতে হবে। গোছলখানা যাতে ভেজা না থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। গোছলখানার বাথটাব, প্যান, মেঝে ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- রান্নাঘর প্রতিদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, যাতে ময়লা না জমে। গরম পানি ও ফ্লোর ক্লিনার দিয়ে রান্নাঘর নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
- শিশুদের খেলনা, জুতা, ফ্যান, এসি, ঝাড়বাতি ইত্যাদি সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এতে ধুলোবালি জমে এলার্জি হতে পারে৷ তাই নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
- বাড়িতে পশুপাখি থাকলে নিয়মিত গোছল করাতে হবে৷ পশুপাখির জায়গা সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে৷ পশুপাখির উচ্ছিষ্ট খাবার ফেলে দিতে হবে। এতে করে এলার্জিজনিত সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
কেএস/