শিশুর এক বছর বয়সের মধ্যে গরুর দুধ পান করলে সমস্যা হতে পারে!
- কামরুন নাহার স্মৃতি
- নভেম্বর ২৩, ২০১৯
শিশুর এক বছর বয়সের মধ্যে গরুর দুধ পান করলে যে যে সমস্যা হতে পারে!
রক্তাল্পতাঃ গরুর দুধে আয়রন কম থাকায় এবং দুধের ক্যালসিয়াম ও ক্যাসিন আয়রন শোষনে বাঁধা দেওয়ায় গরুর দুধের ওপর নির্ভরশীল ১বছরের নিচের প্রায় সব শিশুই আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতায় ভোগে।
আন্ত্রিক রক্তক্ষরণঃ গরুর দুধের ওপর নির্ভরশীল ১বছরের কম প্রায় ৪০শতাংশ শিশুর অন্ত্রে আণুবীক্ষণিক রক্তক্ষরণ হয়।
ডায়াবেটিসঃ গরুর দুধে বোভাইন সেরাম অ্যালবুমিন থাকে। তা শিশুর অপরিপক্ক অন্ত্রের ছিদ্র দিয়ে পরিপাক ছাড়াই সরাসরি রক্তে চলে যেতে পারে। রক্তে গেলে ওই প্রোটিনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই প্রোটিনের সাথে শিশুর ইনসুলিন তৈরির বিটা কোষের মিল রয়েছে। বিটা কোষ ধ্বংস হলে ঐ শিশুই বড় হয়ে ইনসুলিন নির্ভরশীল ডায়াবেটিস এ ভুগতে পারে।
অ্যালার্জিঃ গরুর দুধ প্রোটিন আকারে বড় হওয়ায় এবং ১বছরের নিচের শিশুর পরিপাকতন্ত্রের অপরিপক্কতার কারণে শিশু অ্যালার্জিতে ভুগতে পারে।
শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহঃ মায়ের দুধ খাওয়া শিশুর তুলনায় গরুর দুধ খাওয়া শিশু শ্বাসতন্ত্রের অসুখে বেশি ভোগে।
পেটের অসুখঃ গরুর দুধের জটিল প্রোটিন হজম করতে না পারা ও অন্যান্য উপাদান, বিশেষত দুধের ল্যাকটোজের প্রতি সহনশীলতার অভাবে শিশু প্রায়ই পেটের অসুখে ভোগে।
হঠাৎ মৃত্যুঃ গরুর দুধে ক্যাসিন প্রোটিন থেকে শিশুর পেটে বোভাইন বিটা ক্যাসোমরফিন-৫ তৈরি হতে পারে। ফলে শিশুর শ্বাস প্রশ্বাস আটকে আসে এবং শিশুর হঠাৎ মৃত্যু হয়।
কে/এস