নারীই হোক নারীর সহায়ক

  • তন্ময় আলমগীর
  • অক্টোবর ২৩, ২০১৮

দেশে নারীদের অবস্থানের চিত্রটি এমন- অ্যাকশন এইডের জরিপে, বাংলাদেশে ৮০ শতাংশ নারী রাস্তায় আর স্কুল কলেজের বাইরে প্রায় ৭০ শতাংশ নারী হয়রানির শিকার হন। পুলিশের তথ্য মতে ২০১৭ সালে সারাদেশে ১৫ হাজারের বেশি নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানায়, ২০১৭ সালের প্রথম ১০ মাসেই বাংলাদেশে ১ হাজার ৭৩৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ থেকে বুঝা যায় দেশে নারীদের অবস্থানটা কোথায়। এ তো গেল বাইরের কথা। মনের দিক দিয়েও চাপা স্বভাবের হয়ে থাকে নারীরা। লজ্জায় অনেক সময় নারীরা নারীর কাছে মনের কথা বলে না। আবার ভয়ে বলে না পুরুষের কাছে। এতে একদিকে বাইরে সম্মানহানি হওয়ার পাশাপাশি নারীরা গোটানো শামুকের মতো হয়ে যাচ্ছে দিনকেদিন। অপরদিকে অন্তর দহনে পুড়ে নারীরা হচ্ছে অসুখে জর্জরিত। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?

১ . ছেলেরা যেমন দলবদ্ধ থাকে। এক সাথে ঘুরে , এক সাথে আড্ডাবাজি করে। ঠিক সেভাবে শুধু মেয়েরা একটি সংঘবদ্ধ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারে। একটি ছেলে বিপদে পড়লে তার একটিমাত্র ফোনে দ্রুত জড়ো হয়ে যায় ১৫-২০ জন ছেলে। মেয়েদেরকেও এলাকাভিত্তিক সেরকম কিছু করা এখন সময়ের দাবি।

২ . ‘মেয়ে এ-সিস্টারহুড’, ‘শক্তি নেটওয়ার্ক’ এর মতো ঢাকায় ১৩টি গ্রুপ আছে এমন যারা শুধু ফেইসবুকে সীমাবদ্ধ না থেকে সমাজের নানাবিধ সমস্যায় একে অপরের সহায়ক হচ্ছে। এমন সংগঠনের বিস্তৃতি সারাদেশে হওয়া দরকার। এতে একদিকে যেমন শক্তি বাড়বে নারীদের। অন্যদিকে স্বাচ্ছন্দে চলাফেরাও করতে পারবে তারা। 

৩ .বাড়িভাড়া খুঁজতে সহায়তা করা, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়া সদস্যদের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া, এমনকি কোথায় গেলে তার সাতে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিচারে আইনি সহায়তা পাবে সে পথের সন্ধান দেওয়া। শুধু তাই-ই নয়, গর্ভাবস্থায় বা সন্তান জন্মদানের পর করণীয়, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ, নারীদের মানসিক রোগ যা অন্য কারো কাছে শেয়ার করার মতো না, সে সব সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণ করাই হবে এ দলবদ্ধ সংগঠনের কাজ।
 

Leave a Comment