জলপাই চাষ পদ্ধতি

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১

টক জাতীয় ফল জলপাই। একে জয়তুনও বলা হয়। আদি বাসস্থান ছিল ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল। পরে এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এ ফলটি। আমাদের কাছে জলপাই মুখরোচক একটি ফল। কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থায় ফলটি খাওয়া যায়। আচার, চাটনি, জ্যাম, জেলি প্রভৃতি তৈরিতে ব্যবহার হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া জলপাই চাষের উপযোগী তাই এর চাষাবাদ সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

জাত: জলপাইয়ের দুটি জাত রয়েছে। একটি আরবিও জলপাই বা জয়তুন, যা আরব অঞ্চলে ভালো জন্মে। এ জাতটি তেল তৈরিতে বেশি ব্যবহার হয়। দ্বিতীয়টি ভারতীয় জাত যা সাধারণত কাঁচা খাওয়া হয়। আচার ও চারটি তৈরিতে ব্যবহার হয়। বাংলাদেশে ভারতীয় জাতটায় ভালো জন্মে।

জমি নির্বাচন ও তৈরি: জলপাই চাষের জন্য প্রথমে জমি নির্বাচন করতে হবে। বন্যার পানি থাকেনা এমন উঁচু বা মাঝারি উঁচু জমি বাছাই করে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। জমি ছাড়াও এর চারা বাড়ির উঠোন কিংবা ফেলে রাখায় স্থানে রোপন করে আবাদ করা যায়।

আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকে নিয়ে আসুন এক্সট্রা গ্লো

রোপনের সময়: মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে পানি সেচের সুব্যবস্থা থাকলে সারা বছরই রোপন করা যেতে পারে।

রোপণের নিয়ম: রোপণের অন্তত ১৫-২০ দিন আগে গর্ত করে উন্মুক্ত অবস্থায় রাখতে হবে। গড়তে হবে ২৩ ফুট দূরত্বে, ৩৩ ফুট আকারের গর্ত করার পর পরিমাণমতো পচা গোবর, টিএসপি সার, পটাশ, জিপসাম ও দস্তা সার মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে গর্তে দিয়ে বন্ধ করতে হবে। মাটিতে রসের ঘাটতি থাকলে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।

গর্ত ভর্তির ১০-১৫ দিন পর চারা গর্তের ঠিক মাঝখানে রোপন করা উচিত। রোপণের সময় চারার গোড়া যাতে ঠিক খাড়া থাকে ও কোন ভাবে আঘাত না পায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। চারা রোপণের পর পানি দিতে হবে। পাশাপাশি খুঁটি ও বেড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর দু'দিন অন্তর পানি দিতে হবে।

পরিচর্যা: চারা রোপণের পর নিয়মিত পানি ও সার দিতে হবে। তবে অতিরিক্ত সার ও পানি দেওয়া যাবে না। তিন ভাগে বিভক্ত করে গাছের গোড়ায় সার দিতে হবে। প্রথম কিস্তি বর্ষাকালের শুরুতে। দ্বিতীয় কিস্তি বর্ষার শেষে। শেষ কিস্তির শীতের শেষে দেওয়া উত্তম। স্যারের সঙ্গে মাটি মিশিয়ে গাছের গোড়া থেকে প্রায় দুই থেকে তিন ফুট দূরত্বে ভালোভাবে মিশিয়ে সেচ দিতে হবে। গর্ত করার সময় যে সার ব্যবহার করা হয়েছে তাই ব্যবহার করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যের যত্ন নিচ্ছেন তো ?

সেচ ও পানি নিষ্কাশন: শুষ্ক আবহাওয়া ও খরা সহ্য করতে পারে বলে বৃষ্টির পরিমাণ মাটি ও গাছের বয়সের উপর ভিত্তি করে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। শীতকালে দেড় মাস ও গরমকালে ২০ দিন পরপর সেচ দেওয়া ভালো। ফল আসার পর কমপক্ষে দুইবার সেচ দিতে হবে। বর্ষা মৌসুমে গাছের গোড়ায় যাতে জলাবদ্ধতা না হয় সে জন্য দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment