নিজে ফ্রিল্যান্সিং শিখে, শেখালেন মাকেও!

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • নভেম্বর ২৩, ২০২০

মা বেশি পড়াশোনা করতে পারেননি বলেই চেয়েছিলেন' মেয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছিলেন। মেয়ে ও তার চেয়েছিলেন। আর চেয়েছিলেন বলেই সব বাধা পেরিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি করে যাচ্ছে মুক্ত পেশাজীবী (ফ্রিল্যান্সার) হিসেবে আউটসোর্সিং এর কাজ। শুধু যে নিজে করছেন তাই না, মাকেও শিখিয়েছেন। এখন মা-মেয়ে কাজ করেন একসঙ্গে। এ গল্প মেয়ে আফরোজা সিদ্দিকা এবং মা মোহছেনা বেগমের। আফরোজা সিদ্দিকার সঙ্গে কথা শুরু হয় তার পড়াশোনা নিয়ে। তিনি বললেন, ইচ্ছে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়বো।

আরো পড়ুনঃ ফলিক এসিড কাদের বেশি দরকার হয়?

কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ হলো না। পরে ভর্তি হয়েছি তেজগাঁও কলেজে। তবে মনে একটা জেদ ছিল কিছু করার। ভাবতাম নিজে কিছু করতে পারলে ভালো হতো। পরে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের কথা জানতে পারি বন্ধু হাবিব এর কাছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শেখার আগ্রহের কথা আমাকে জানান আফরোজা। মা সমর্থন দেন। তিনি বলেন, আমার মা গ্রাফিক ডিজাইন এর একটি কোর্সে আমাকে ভর্তি করে দিল। এরপর থেকে আমার ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের শুরু।

আফরোজা পড়াশোনা করছেন তেজগাঁও কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষে। একসঙ্গে চলছে গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ। এই জন্য তাকে নিয়মিত যাত্রাবাড়ী থেকে ধানমন্ডি যেতে হয়। আফরোজা প্রথম সাফল্য পান চলতি বছরের এপ্রিলে। ডিজাইন ক্রাউট নামের ওয়েবসাইটে লোগো নকশার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে ১৫০ ডলার পান। পরের দিনই ফ্রিল্যান্সার ডটকম এর একটি প্রকল্পে তার আরেকটি লোগোর নকশা নির্বাচিত হওয়ায় পান ৭০ ব্রিটিশ পাউন্ড।

আরো পড়ুনঃ গর্ভকালীন সাময়িক সমস্যাগুলো কী কী?

এভাবেই শুরু। আফরোজা বললেন এপ্রিলের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমার মোট আয়ের প্রায় তিন হাজার ডলার। এখন আমি বাসায় আমার মায়ের সঙ্গে আরও তিনজন মেয়েকে কাজ শিখাচ্ছি। দেশে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য মায়েদের বড় ভূমিকা রাখা উচিত বলে মনে করেন মোহছেনা বেগম। তিনি বলেন, আমি পঞ্চম শ্রেণীর বেশি পড়াশোনা করতে পারিনি। তাই আমি সব সময় চেয়েছি আমার মেয়ে কিছু করুন। নিজের পায়ে দাঁড়াক।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment