
চীনের ১০ টি অবাক করা তথ্য
- রেজবুল ইসলাম
- এপ্রিল ১৭, ২০১৮
চীন অধিক জনবসতির একটা দেশ। এদেশে অনেক অনেক ঘটনা রয়েছে যা একই সাথে আশ্চর্যের এবং মজার। এমন ১০ টি তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি।
১) চীনে, যখন সৈন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়, তখন তাদের ইউনিফর্মগুলি ক্যারিয়ারে পিন করা হয় যাতে তারা তাদের ঘাড়কে ঊর্ধ্বে রাখতে পারে।
২)২০১০ সালে, চীনের সাংহাই শহরে ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যাম হয়। এই জ্যাম ১২ দিনের মতো ছিল ।
৩) চীন বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে সেক্স খেলনা বিক্রিতে
৫) প্রস্রাবের মধ্যে সিদ্ধ করা ডিম খাওয়া । চীন সম্পর্কে একটি কথা প্রচলিত আছে। তা হচ্ছে- “ চীনারা টেবিল-চেয়ার ছেড়ে চার পদের খাবার খায়”। সারা পৃথিবী জুড়ে ডিমকে জলে ফোটানো হলেও, ডিম চীনে ছেলেদের প্রস্রাবের মধ্যে সেদ্ধ হয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, চীনের অধিবাসীরা অবিবাহিত ছেলেদের প্রস্রাবে সিদ্ধ করা ডিম খায়! এই প্রথা হাজার বছর ধরে প্রচলিত আছে। স্থানীয় স্কুল থেকে তারা প্রস্রাব সংগ্রহ করে। বিশ্বাস করা হয়, এই ডিম খেলে কোমর, পা এবং জয়েন্ট বা অস্থি-সন্ধির ব্যথা সেড়ে যায়। সেইসাথে শরীরে পুরোদিন শক্তি সঞ্চিত থাকে। এছাড়াও এজন্য তারা তেলাপোকা, ইঁদুর, কুকুর, কুমিরও খেয়ে থাকে।
৬) মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পূর্বে ভ্রাম্যমান গাড়ি ব্যবহার চীনের জেলখানায় এমন একটি আশ্চর্যজনক নিয়ম চালু আছে যেখানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ভ্রাম্যমান গাড়িতে করে প্রদর্শন করা হয়! বলা হয় এতে কতজন আসামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল তা জনগন জানতে পারবে।
তবে অনেকের ধারণা, সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের সঠিক সংখ্যা জানানোর জন্য এটি একটি আইওয়াস মাত্র। কারণ তারা যতজন আসামীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে তার থেকে কম সংখ্যক প্রদর্শন করে। হিউম্যান রাইটস’র তথ্য অনুসারে, চীনে প্রতি বছর হাজারের অধিক লোককে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। মাদক চোরাচালান, কোনকিছুতে ভেজাল দেয়া বা দূর্নিতী করলেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতে পারে।
আগে চীনে ফায়ারিং স্কোয়াড কর্তৃক গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলেও বর্তমানে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয়।
৭) ব্রা’র উপর ডিগ্রী চীনের হংকং পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটিতে ব্রা’র উপর ডিগ্রী দেয়া হয়। চীনের সবথেকে বড় অন্তর্বাস প্রস্তুতকারক কোম্পানী “টপ ফর্ম” এর ব্রা ল্যাবরেটরিও রয়েছে। এই কোম্পানী ভিক্টোরিয়া সিক্রেট, প্লেটেক্স এবং মেডেনফর্ম এর মত বিখ্যাত ব্রান্ডের ৬০ মিলিয়নেরও অধিক অন্তর্বাস তৈরি করে।
৮) প্রতিবছর ১০ লাখ চাইনিজ ধূমপানে মারা যান। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের এক হিসেবে দেখা যায়, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিবছর তিন মিলিয়ন মানুষ মারা যাবেন। আর চীনের মানুষ এক সেকেন্ডে ৫০০০০ সিগারেট খেয়ে থাকেন ।
৯) লিপস্টিকের চাহিদা মেটাতে প্রতিবছর কাটা হয় ২০ মিলিয়ন গাছ। এই দেশে প্রতি বছর ৮০ বিলিয়ন জোড়া ডিসপজেবল চপস্টিক ফেলে দেওয়া হয়। এগুলো ২০ সেন্টিমিটার লম্বা। চপস্টিক দিয়ে টাইনানমেন স্কয়ারকে ২৬০ বার ঢেকে ফেলা যাবে। যে গাছগুলো কাটা হয় সেগুলো ২০ বছরের পুরনো।
১০) ফুটবলের জন্ম চীনে। চীনা ভাষায় ‘কুজু’ শব্দের অর্থ ‘পা দিয়ে বলে লাথি মারো। ’ বলা হয় হুন রাজবংশের আমলে এই ‘কুজু’ খেলা অসম্ভব জনপ্রিয় ছিল। যার প্রভাবে চীনের পার্শ্ববর্তী ভিয়েতনাম, কোরিয়া, জাপানের মতো দেশগুলি ফুটবলে এতো ভালো।
তথ্য এবং ছবি : গুগল