 
                                    হঠাৎ বুক ধরফর ইঙ্গিত দেয় বিভিন্ন সমস্যার!
- কবিতা আক্তার
- অক্টোবর ২১, ২০২২
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে হৃদস্পন্দনের হার স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মিনিটে ৭২ বার হয়। তবে ব্যক্তিভেদে হার্টবিটের হার প্রতি মিনিটে ৬০-১০০ পর্যন্তও হতে পারে। স্বাভাবিকের তুলনায় কম বা বেশি হৃদস্পন্দনের হার নানা অসুখের ইঙ্গিত দেয়।
বিশেষ করে প্রতি মিনিটে ১০০ টির বেশি হৃদস্পন্দন হলে তাকে ট্যাকিকার্ডিয়া বলা হয়। আবার প্রতি মিনিটে ৬০ এর কম হৃদস্পন্দন পড়লে তাকে ব্রাডিকার্ডিয়া বলা হয়। তবে কখনো কখনো খুব দ্রুত হাড়ে হৃদস্পন্দন হতে থাকে। যা বুক ধরফর বলেই পরিচিত সবার কাছে। অনেকেই বিষয়টি গুরুতর সমস্যা বলে ভাবেন। আসলে সব সময়ে এটি ভীতি জনক নয়, নিয়মিত এই ঘটনা দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘটলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তার আগে জেনে রাখুন ঠিক কি কি কারণে বুক ধরফর হয়...
আরো পড়ুনঃ রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস সংরক্ষণের সহজ ঘরোয়া টিপস
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ: বিভিন্ন কারণে মানুষের জীবনে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বাড়তে পারে। ফলে দ্রুত হৃদস্পন্দনের সমস্যা দেখা দেয়। আবার হঠাৎ করে উত্তেজিত কিংবা উদ্বিগ্ন হলেও বুক ধরফর হতে পারে।
শরীরচর্চার সময় বা পরে: শরীর চর্চার সময় বা তার ঠিক পরেই হৃদস্পন্দন দ্রুত প্রবাহিত হয়। এই বিষয়ে একেবারে স্বাভাবিক। শরীরচর্চার পর পেশীগুলো আরো বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এজন্য এমনটি ঘটে। ব্যায়াম করার পর বুক ধরফর করা ভয়ের কিছু নয়। স্বাভাবিক কারণেই এমনটি ঘটে।
ঋতু্স্রাবের সময়: ঋতুস্রাবের সময়ও বুক ধরফর এর সমস্যা দেখা দিতে পারে নারীদের মধ্যে। কারণ এ সময় হরমোনের মাত্রার পরিবর্তনের কারণের হৃদস্পন্দনের হাড় বাড়তে পারে। অন্তঃসত্ত্বা বা ঋতুবন্ধের সময়ে অনেকেরই বুক ধড়ফড় করে। এ বিষয়টিও স্বাভাবিক।
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে: ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ কমে গেলেই বুক ধরফরের সমস্যা হতে পারে। এমনকি রক্তচাপ কমে গেলেও এ সমস্যা হয়।
জ্বর হলে: সংক্রমণজনিত কারণে হঠাৎ জ্বর এলে এমনটি ঘটে। যা জ্বর চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক হয়ে যায়। দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন অভ্যাসের কারণে হৃদস্পন্দনের হার বাড়তে পারে। সব সময় এটি গুরুতর হয়ে ওঠেনা। এসব ক্ষেত্রে বুক ধরফর মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয় ও একবারে ঘটে। তবে এই সমস্যা গুরুতর হয়ে উঠতে পারে, যদি দেখেন এর সঙ্গে এসব লক্ষণ দেখা দেয়...
আরো পড়ুনঃ পর্দা টাঙানোর রড পরিষ্কার করার উপায়
১. বুকে ব্যথা
২. নিশ্বাস নিতে কষ্ট
৩. মাথা ঘোরা
৪. অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়া
৫. শ্বাসকষ্ট। এগুলো হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। কখনো কখনো দ্রুত বা নিয়মিত হৃদস্পন্দন গুরুতর হৃদরোগ যেমন- হার্ট ফেইলিওর, হার্ট অ্যাটাক, করোনারী ধমনী রোগ, ভালবে সমস্যা বা অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশনের কারণ হতে পারে।

 
                                                   
                                                   
                                                  



